হোম পদার্থ রসায়ন জীব ইসলামিক

মসবর্গীয় ও ফার্নবর্গীয় উদ্ভিদ কাকে বলে?বৈশিষ্ট্য, উদাহরণ

মস বর্গীয় উদ্ভিদ এরা থ্যালোফাইটা দলের উদ্ভিদের চেয়ে কিছুটা উন্নত। পৃথিবীতে মসবর্গীয় উদ্ভিদ প্রজাতির সংখ্যা প্রায় তেইশ হাজার। আর ফার্ণ বর্গীয় উদ্ভিদ হলো প্রথম ভাস্কুলার উদ্ভিদ (যাদের পরিবহণ টিস্যু আছে) । এ জাতীয় উদ্ভিদের প্রজাতির সংখ্যা প্রায় দশ হাজার। একমাত্র দক্ষিণ আমেরিকা ও সুমেরু অঞ্চল ব্যতীত বিশ্বের সর্বত্রই এরা বিদ্যমান।

মসবর্গীয় উদ্ভিদ কাকে বলে?

সংজ্ঞা : যে সকল অপুষ্পক উদ্ভিদের দেহে সত্যিকারের মূল, কাণ্ড বা পাতা নেই এবং কোনো সংবহনতন্ত্র ও থাকে না তাদেরকে মসবর্গীয় উদ্ভিদ বলে।

আরও শিখুন : মস ও ফার্ন : সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য এবং পার্থক্য

মস বর্গীয় উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য :

  • এরা প্রধানতঃ স্থলে বাস করে ৷
  • দেহে কাণ্ড, পাতার মত অঙ্গ নেই ।
  • ব্রায়োফাইটার মূল সর্বদা অবর্তমান ।
  • মূলের পরিবর্তে চুলের মতো সূক্ষ্ম রাইজয়েড থাকে ।
  • দেহে কোন পরিবহণ টিস্যু নেই।
  • স্ত্রী ও পুরুষ উদ্ভিদ ভিন্ন ।
  • পুরুষ মস উদ্ভিদ সৃষ্ট নিশ্চল ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয়ে স্পেরোফাইটের সূচনা করে ।
  • স্ত্রী মস উদ্ভিদের মাথায় স্পোরোফাইট সৃষ্টি হয় ।
  • ক্যাপসুলের ভিতরে সৃষ্ট স্পোর অংকুরিত হয়ে শৈবালের ন্যয় সবুজ সূত্রাকার প্রোটোনেমা গঠন করে।
  • প্রোটোনেমা হতে মস উদ্ভিদ সৃষ্টি হয়।
  • সালোকসংশ্লেষণে এরা শর্করা তৈরি করে।
  • মসবর্গের উদ্ভিদেরা অঙ্গজ, অযৌন ও যৌন প্রক্রিয়ায় জনন কার্য সম্পাদন করে ।

মসবর্গীয় উদ্ভিদের উদাহরণ : মসবর্গীয় উদ্ভিদের প্রতিনিধি হিসাবে Bryum বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ।

ফার্নবর্গীয় উদ্ভিদ কাকে বলে ?

সংজ্ঞা : টেরিডোফাইটা বিভাগের অন্তর্গত যে সকল অপুষ্পক উদ্ভিদের দেহকে সত্যিকারের মূল, কাণ্ড বা পাতা বিভক্ত করা যাই এবং সংবহনতন্ত্র ও রয়েছে তাদেরকে ফার্নবর্গীয় উদ্ভিদ বলে।

আরও শিখুন : ব্রায়োফাইটা ও টেরিডোফাইটা- সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য, পার্থক্য

ফার্ণ বর্গীয় উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য :

  • Pteris উদ্ভিদ স্পোরোফাইটিক।
  • এদের দেহ মূল, কাণ্ড ও পাতায় বিভক্ত ।
  • কাণ্ড রাইসোম জাতীয়। এর গায়ে শুল্কপত্র থাকে ।
  • পাতা চিরসবুজ ও পক্ষল যৌগিক ।
  • পাতার মুকুল, পত্রবিন্যাস কুণ্ডলাকৃতির।
  • পরিণত পত্রকের কিনারা বরাবর স্পোরোঞ্জিয়াম উৎপন্ন হয়। স্পোরোঞ্জিয়ামের স্ফীত অংশকে ক্যাপসুল বলে। ক্যাপসুলের ভিতরে স্পোর উৎপন্ন হয় ।
  • স্পোর অংকুরিত হয়ে প্রোথ্যালাস নামক সবুজ হৃৎপিণ্ডাকার গ্যামোটোফাইট সৃষ্টি করে ।
  • প্রোথ্যালাসে পুং ও স্ত্রী জননাঙ্গ মিলিত হয় এবং স্ত্রী ও পুংজনন কোষের মিলনের মাধ্যমে নতুন Pteris উদ্ভিদের সৃষ্টি হয়।
  • এদের ক্লোরোফিল আছে।
  • এরা সালোকসংশ্লেষণে অংশগ্রহণ করে।

ফার্ণবর্গীয় উদ্ভিদের উদাহরণ : ফার্ণবর্গীয় উদ্ভিদের প্রতিনিধি হিসাবে Pteris ফার্ণ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । Pteris ফার্ন সানফার্ন নামেও পরিচিত।

আরও শিখুন :

প্রোথ্যালাস কি? ফার্ন প্রোথ্যালাস এর বৈশিষ্ট্য ও গঠন

প্রজনন, যৌন ও অযৌন জনন সংজ্ঞা, প্রকারভেদ, পার্থক্য

Leave a Comment