হোম পদার্থ রসায়ন জীব ইসলামিক

রিকসিয়া ও টেরিস – বৈশিষ্ট্য,পার্থক্য,আবাস ও অবস্থান

Riccia ( রিকসিয়া )-এর আবাস : Riccia -এর প্রায় ২০০টি প্রজাতি রয়েছে। এরা পৃথিবীর সর্বত্র জন্মায়। স্যাতস্যাতে মাটি, নদীর কিনারা, ভেজা দেয়াল প্রভৃতি স্থানে এদেরকে দেখতে পাওয়া যায়। এদের Riccia fluitans-ই কেবলমাত্র জলজ প্রজাতি; বাকি সব প্রজাতি হলো স্থলজ। প্রায় ৭৫ প্রজাতির Riccia পাওয়া গেছে বাংলাদেশে ; যেমন- R. perssonii, Riccia discolor, R. frostii ইত্যাদি ।

Riccia এর শ্রেণিবিন্যাসগত অবস্থান :

Kingdom: Plantae
Division: Bryophyta
Class: Hepaticae
Order: Marchantiales
Family: Ricciaceae
Genus: Riccia

আরও শিখুন : ব্রায়োফাইটা ও টেরিডোফাইটা- সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য, পার্থক্য

Riccia (রিকসিয়া)-এর বৈশিষ্ট্য :

  • দেহ গ্যামেটোফাইটিক এবং থ্যালাস প্রকৃতির ।
  • এরা বিষমপৃষ্ঠ, শায়িত, চ্যাপ্টা, দ্ব্যগ্রশাখাবিশিষ্ট এবং সবুজ।
  • এদের দেহকে মূল, কাণ্ড ও পাতায় ভাগ করা যায় না ।
  • এদের মূলের পরিবর্তে রাইজয়েড বিদ্যমান ।
  • এদের যৌনাঙ্গ (Antheridium ও Archegonium) থ্যালাস টিস্যুর মধ্যে ডুবানো থাকে ।
  • ক্যাপসুল কখনো বিদীর্ণ হয় না বরং এর প্রাচীর ও গ্যামেটোফাইট থ্যালাস ধ্বংসের মাধ্যমে স্পোর মুক্ত হয় ।

Pteris(টেরিস)-এর আবাস : Pteris একটি স্থলজ ফার্ন। শীতল ও ছায়াযুক্ত ভেজা মাটিতে, বৃক্ষের বাকলে, পুরাতন দেয়ালে এদের অধিক জন্মাতে দেখা যায়। রৌদ্রে জন্মাতে পারে বলে এদেরকে সানফার্ন বলে। সমতল ভূমিতে ও পার্বত্য অঞ্চলে এদের জন্মাতে দেখা যায়।

নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডলে এদের আধিক্য লক্ষ করা যায়। এর ২৮০টি প্রজাতির মধ্যে বাংলাদেশে ১৬টি প্রজাতি জন্মাতে দেখা যায়। Pteris vittata প্রজাতিটি বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি জন্মায় । এছাড়াও Pteris longifolia, Pteris grandifolia প্রভৃতি জন্মায় ।

আরও শিখুন : মস ও ফার্ন : সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য এবং পার্থক্য

Pteris এর শ্রেণিবিন্যাসগত অবস্থান :

Kingdom: Plantae
Division: Filicinophyta
Class: Filicineae
Order: Filicales
Family: Polypodiacae
Genus: Pteris

Pteris(টেরিস) এর বৈশিষ্ট্য :

  • দেহ মূল, কাণ্ড ও পাতায় বিভক্ত।
  • কাণ্ড রাইজোমে রূপান্তরিত হয়।
  • রাইজোম র‍্যামেন্টা দ্বারা আচ্ছাদিত থাকে ।
  • পাতা যৌগিক ও কচি অবস্থায় কুণ্ডলিত ।
  • স্পোরোফাইট সমরেণুপ্রসূ (Homosporous)।
  • স্পোরাঞ্জিয়া একত্রিত হয়ে পাতার কিনারায় সোরাস গঠন করে।
  • স্পোরাঞ্জিয়াম মেকি (False) ইসিয়াম দ্বারা ঢাকা থাকে।
  • প্রোথ্যালাস সবুজ, হৃৎপিণ্ডাকার ও সহবাসী।

Riccia(রিকসিয়া) ও Pteris(টেরিস) এর বৈশিষ্ট্য :

Riccia Pteris
১. Riccia উদ্ভিদটি গ্যামেটোফাইট ও থ্যালাসসদৃশ। ১. Pteris উদ্ভিদটি স্পোরোফাইট ও সবুজ বর্ণের হৃৎপিণ্ডাকার দেহটি প্রোথ্যালাস নামে পরিচিত।
২. Riccia এর দেহকে মূল, কাণ্ড ও পাতায় বিভক্ত করা যায় না। ২. Pteris এর দেহকে মূল, কাণ্ড ও পাতায় বিভক্ত করা যায়।
৩. Pteris এর কাণ্ডে পরিবহন কলা গুচ্ছ বিদ্যমান। ৩. Riccia এর কাণ্ডে পরিবহন কলা গুচ্ছ নেই ।
৪. Riccia কাণ্ড বায়বীয় ও শল্কপত্রবিহীন । 8. Pteris কাণ্ড র‍্যামেন্টা নামক শল্কপত্র দ্বারা আবৃত থাকে।
৫. Pteris এর গ্যামেটাফাইট স্পোরোফাইটের উপর নির্ভরশীল । ৫. Riccia এর স্পোরোফাইট গ্যামেটাফাইটের উপর নির্ভরশীল।
৬. কিছু কিছু Riccia (Riccia fluitans) পুকুর বা ডোবায় ভাসমান অবস্থায় জন্মাতে দেখা যায় । ৬. Pteris পানিতে জন্মাতে দেখা যায় না।
৭. Riccia এর স্পোরোফাইট অতি সরল প্রকৃতির শুধুমাত্র ক্যাপসুল দিয়ে গঠিত । ৭. Pteris এর স্পোরোফাইটিক পর্যায় অতি দীর্ঘ।
৮. Riccia ব্রায়োফাইটা বিভাগের বৈশিষ্ট্য বহন করে।’ ৮. উভয়ে Plantae জগতের হলেও Pteris ফিলিসিনোফাইটা বিভাগের বৈশিষ্ট্য বহন করে ।

আরও শিখুন : সানফার্ন কি?এর বৈশিষ্ট। Pteris কে সানফার্ন বলা হয় কেন?

Leave a Comment