সংজ্ঞা :- কোষের প্লাজমা পর্দা থেকে নিউক্লিয়ার পর্দা পর্যন্ত বিস্তৃত অসংখ্য শাখান্বিত বা শাখাহীন সরু নালিকার মত অঙ্গাণু অনেকটা জালকের মত অবস্থান করে, এগুলোকে এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম বলে ।
এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম এর গঠন :
আকৃতিগত ভাবে এরা তিন ধরনের হয় -
- ১। শাখাহীন চ্যাপ্টা থলির মত সিস্টারনি ।
- ২। শাখান্বিত সরু নালিকার মত টিউবিউল।
- ৩। ডিম্বাকার বা গোলাকার গহ্বরের মত ভেসিল ।
এদের গাত্রে রাইবোসোম-দানা যুক্ত থাকলে এদেরকে অমসৃণ ER বলে; আর রাইবোসোম দানাহীন থাকলে তাদের মসৃণ ER বলা হয় ।
এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম এর কাজ:
- ১. ER সাইটোপ্লাজমের কাঠামো গঠন করে একে দৃঢ়তা প্রদান করে ।
- ২. সাইটোপ্লাজমকে কয়েকটি অসম্পূর্ণ প্রকোষ্ঠে বিভক্ত করে কতকগুলো রাসায়নিক বিক্রিয়াকে সাইটোপ্লাজমের বিভিন্ন অংশে সীমাবদ্ধ রাখে।
- ৩. কোষের ভিতরে ক্ষরণ পদার্থের পরিবহণে অংশ নেয়।
- ৪. প্রোটোপ্লাজমের কাঠামো হিসেবে কাজ করে।
- ৫. এটি লিপিড ও প্রোটিন এর অন্তঃবাহক হিসেবে কাজ করে।
- ৬. কোষের ভিতর অনুপ্রবেশকারী বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ কে নিষ্ক্রিয় করে।
আরও পড়ুন :- গলজি বস্তু কাকে বলে?গলগি বডির গঠন, কাজ। ট্রাফিক পুলিশ বলে?
গলজিবস্তু ও এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলামের মধ্যে পার্থক্য:
গলগিবস্তু | এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকা |
---|---|
১। কোষের নিউক্লিয়াসের নিকটবর্তী নির্দিষ্ট স্থানে গলজি বস্তুর অবস্থান । | ১। কোষপর্দা হতে নিউক্লিয় পর্দা পর্যন্ত এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকার বিস্তৃতি। |
২। ঘনসন্নিবিষ্ট ও স্তরীভূত অবস্থায় থাকে । | ২। পরস্পর যুক্ত অবস্থার জালিকাকারে এদের অবস্থান । |
৩। গাত্র সর্বক্ষেত্রেই মসৃণ হয় । | ৩। গাত্র মসৃণ এবং দানাযুক্ত । |
৪। গহবর বা ভ্যাকুওল থাকে। | ৪। গহ্বর বা ভ্যাকুওল থাকে না । |
৫। ভ্যাকুওল বা গহ্বরে খাদ্য সঞ্চিত থাকে । | ৫। খাদ্য সঞ্চিত থাকে না। |
৬। সিস্টারনি, মাইক্রোভেসিকল ও ভ্যাকুওল - এই তিন প্রকারের গলজি বস্তু থাকে। | ৬। সিস্টারনি, ভেসিকল ও টিবিউল- এই তিন প্রকারের এন্ডোপ্লাজমীয় ঝালিকা দেখতে পাওয়া যায় ৷ |
৭। সাইটোপ্লাজমের কাঠামো গঠনে গলজি বস্তুর কোন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করে না । | ৭। সাইটোপ্লাজমের কাঠামো গঠনে এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকা এক বিশেষ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করে । |