জাতীয় পতাকা - রচনা [ class 1, 2, 3, 4, 5 ]

জাতীয় পতাকা রচনা - ১

সূচনা : 

জাতীয় পতাকা একটি স্বাধীন জাতির মর্যাদার প্রতীক। প্রতিটি স্বাধীন জাতির একটি জাতীয় পতাকা রয়েছে। জাতীয় পতাকার মর্যাদা ও মূল্য অপরিসীম।

স্বাধীনতার প্রতীক : 

আমাদের দেশের নাম বাংলাদেশ। এটি একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। বহু সংগ্রাম ও রক্তের বিনিময়ে আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা পেয়েছি। বিশ্বের অন্যান্য স্বাধীন জাতির মতো আমাদেরও স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক হিসেবে একটি জাতীয় পতাকা রয়েছে।

পতাকার বিশেষত্ব : 

আমাদের জাতীয় পতাকায় লাল রঙের জমিনের মাঝখানে রয়েছে লাল বৃত্ত। সবুজ রং বাংলাদেশের শ্যামল প্রকৃতিকে বোঝায় এবং লাল বৃত্ত রক্তঝরা মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক। আমাদের জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ১০: ৬। অর্থাৎ, দৈর্ঘ্য ১০ ফুট হলে প্রস্থ হবে ৬ ফুট। সবুজ রং প্রকৃতি ছাড়াও দেশের তারুণ্য ও সমৃদ্ধির সম্ভাবনাকে বোঝায়। 

আরও পড়ুন :- একুশে ফেব্রুয়ারি রচনা - ২০০ শব্দ [ক্লাস ৩, ৪ এবং ৫] - ২টি 

লাখো শহিদের রক্তসাগর পাড়ি দিয়ে আমাদের স্বাধীনতার সূর্য উঠেছে। পতাকার মাঝের রক্তিম লাল সূর্য সেটিই তুলে ধরে। এভাবে এ পতাকার মধ্যে আমাদের প্রকৃতি, গৌরবময় ইতিহাস ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার প্রতিফলন ঘটেছে।

সম্মান প্রদর্শন : 

জাতীয় পতাকার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য। স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা- প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে তাকে অভিবাদন করতে শিক্ষা দেওয়া হয় । বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার সময় উঠে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানাতে হয় ।

উপসংহার : 

আমাদের জাতীয় পতাকা আমাদের কাছে অতি প্রিয় । জাতীয় পতাকা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। বুকের রক্ত দিয়ে হলেও আমরা তার মর্যাদা রক্ষা করব।

জাতীয় পতাকা রচনা - ২

সূচনা :

একটি স্বাধীন জাতির স্বীকৃতি এবং মর্যাদার প্রতীক হলো জাতীয় পতাকা। প্রত্যেক স্বাধীন জাতির একটি জাতীয় পতাকা রয়েছে। জাতীয় পতাকার মূল্য অপরিসীম।

স্বাধীনতার প্রতীক : 

আমরা বাংলাদেশি। আমাদের দেশের নাম বাংলাদেশ। বহু সংগ্রাম ও রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। বিশ্বের অন্যান্য জাতির মতো আমাদেরও স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে একটি পতাকা রয়েছে। আমাদের পতাকাটি দু’রঙের- আয়তাকার ঘন সবুজ রঙের ওপর উদীয়মান সূর্যের রঙের একটি লাল বৃত্ত।

আমাদের জাতীয় পতাকা নির্মাণের নিয়মাবলি :

আমাদের পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ১০ : ৬। অর্থাৎ যদি পতাকার দৈর্ঘ্য ৩০৫ সেমি (১০ ফুট) হয়, প্রস্থ ১৮৩ সেমি (৬ ফুট) হবে। লাল বৃত্তটির ব্যাসার্ধ পতাকার দৈর্ঘ্যের পাঁচ ভাগের এক ভাগ ।

পতাকার দৈর্ঘ্যের ২০ ভাগের ৯ ভাগে একটি লম্ব (খাড়া সরলরেখা) টানাতে হবে। তারপর প্রস্থের ঠিক অর্ধ ভাগে দৈর্ঘ্যের সঙ্গে সমান্তরাল করে আর একটি রেখা টানতে হবে । এদুটি রেখার ছেদবিন্দুই হবে বৃত্তটির কেন্দ্রবিন্দু। 

আরও পড়ুন :- বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য - রচনা : Class 3, 4, 5

পতাকার বিশেষত্ব : 

আমাদের জাতীয় পতাকার সবুজ রং বাংলাদেশের সবুজ-শ্যামল প্রকৃতিকে বোঝায়। এটি দেশের তারুণ্য, সজীবতা বহন করছে। লাল রঙের সূর্য নবজাগরণ ও সাম্যের কথাই তুলে ধরেছে। অপূর্ব সুন্দর আমাদের এ জাতীয় পতাকা। আমাদের পতাকা বহন করে আমাদের বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ। এর মাঝে আমাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও আশা-আকাক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে।

সম্মান প্রদর্শন :

জাতীয় পতাকার জন্য আমরা সব সময় গর্ব বোধ করে থাকি । এর প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করাও আমাদের কর্তব্য। স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে একে অভিবাদন জানাতে শিক্ষা দেওয়া হয়।

উপসংহার : 

আমাদের জাতীয় পতাকা আমাদের কাছে অতিপ্রিয় । বুকের রক্ত দিয়ে আমরা তার মর্যাদা রক্ষা করব। এর কোনো অমর্যাদা ব আমরা হতে দেব না।

Post a Comment

0 Comments