ভূমিকা :
বাংলাদেশের ইতিহাসে বেশ কয়েকটি দিন বা দিবস শ্রদ্ধা ও গৌরবের সঙ্গে স্মরণীয়। এসব দিবস আমাদেরকে দেশের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ পর্বগুলোর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। জাতীয় পর্যায়ে এসব দিবস যথাযোগ্য সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে পালন করা হয় ।
দিবসের বর্ণনা :
আমরা জাতীয় পর্যায়ে যেসব দিবস পালন করে থাকি তার মধ্যে রয়েছে শহিদ দিবস বা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস, বিজয় দিবস ইত্যাদি।
ইতিহাস :
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার সম্মান রক্ষায় ছাত্র- জনতা বুকের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত করেন। তাঁদের স্মরণে আমাদের দেশে প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারি শহিদ দিবস পালন করা হয়। এটি আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে সারাবিশ্বে পালিত হয়।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। সে ঘোষণার স্মরণে ২৬ মার্চ উদযাপিত হয় স্বাধীনতা দিবস। মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনা ও তাদের এদেশীয় সহযোগীরা জাতির শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।
আরও পড়ুন :- বিজয় দিবস - রচনা ২০০ শব্দ [ class 3, 4, 5 ]
তাঁদের স্মরণে আমরা ১৪ ডিসেম্বর পালন করি শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা বিজয় লাভ করি। সেই গৌরবোজ্জ্বল ঘটনার স্মরণে ১৬ ডিসেম্বর পালিত হয় মহান বিজয় দিবস ।
কেন পালন করা হয় :
যাঁদের আত্মত্যাগে আমরা মাতৃভাষার মর্যাদার স্বীকৃতি পেয়েছি, স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি তাঁদের অবদানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করতেই এসব দিবস পালন করা হয়। নতুন প্রজন্মকে দেশের ইতিহাসের গৌরবময় অধ্যায়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়াও এর অন্যতম উদ্দেশ্য ।
উপসংহার :
জাতীয় দিবস জাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের পরিচয় প্রকাশ করে। সুন্দর ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে হলে আমাদেরকে এসব দিবসের ইতিহাস জানতে হবে এবং শ্রদ্ধার সঙ্গে দিবসগুলো পালন করতে হবে।
আরও পড়ুন