রচনা : ঐতিহাসিক স্থান - ময়নামতি

সূচনা : 

বাংলাদেশের কুমিল্লায় অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক স্থান হলো ময়নামতি। এ যাবৎ আবিষ্কৃত লালমাই অঞ্চলের প্রাচীনতম সভ্যতার নিদর্শন হলো ময়নামতি প্রত্নস্থল। বাংলাদেশের যেসব এলাকায় প্রাচীনকালে সভ্যতা বিকাশ লাভ করেছিল তার মধ্যে ময়নামতি অত্যতম । বৌদ্ধ সভ্যতা ও হিন্দু ধর্মের বেশ কিছু নিদর্শন এখানে পাওয়া গিয়েছে।

অবস্থান ও ইতিহাস : 

কুমিল্লা শহর থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে কোটবাড়ি এলাকায় ময়নামতি আনন্দবিহার অবস্থিত। ময়নামতি আনন্দবিহার আবিষ্কৃত হয় ১৯৫৫ সালে। বিহারটি নির্মিত হয় অষ্টম শতাব্দীতে। রাজা মানিকচন্দ্রের স্ত্রী ময়নামতির নামানুসারে এর নাম রাখা হয় । অষ্টম শতাব্দীর কোনো এক সময় প্রথম দেববংশের তৃতীয় শাসক আনন্দ দেব বিহারটি নির্মাণ করেন।

আবিষ্কৃত নিদর্শনসমূহ : 

আনন্দবিহারে বৌদ্ধ সভ্যতা ও হিন্দু ধর্মের অনেক নিদর্শন পাওয়া গেছে। এগুলো সংরক্ষণের জন্য এখানে একটি জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বিহারের বাইরের প্রাচীর ও ভেতরের বারান্দার দেয়াল নকশা করা ইট দিয়ে তৈরি। এখানে অসংখ্য রৌপ্য মুদ্রা, ব্রোঞ্জমূর্তি, পোড়ামাটির ভাস্কর্য, ফলক্ এবং মৃৎপাত্রসহ অনেক কিছু পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুন :- পাহাড়পুর - ঐতিহাসিক স্থান বা দর্শনীয় স্থান : রচনা

ঐতিহাসিক নিদর্শন : 

আনন্দবিহার বাংলার প্রাচীন ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ পুরাকীর্তি ও নিদর্শনগুলোর অন্তর্ভুক্ত এই বিহারটি। এ ছাড়াও শালবন বিহার, ময়নামতি জাদুঘর, কৌটিলা মুড়া, রূপবান মুড়া প্রভৃতি খননকালে প্রাচীনকালে অনেক মূল্যবান বস্তুর সন্ধান পাওয়া গেছে।

উপসংহার : 

বিশ্বের প্রতিটি দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান ও পুরাকীর্তিগুলো - সে দেশের ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে। ময়নামতি তেমনি একটি নিদর্শন। এখান থেকে বাংলার প্রাচীন ইতিহাসের বিষয়ে অনেক কিছু জানা গেছে।

আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরও পোস্টের তালিকা

Post a Comment

0 Comments