মহানবী সাঃ এর জীবনী – রচনা ১০০, ২৫০ ও ৩০০ শব্দ – PDF

মহানবী সাঃ এর জীবনী রচনা ১০০ শব্দ

ভূমিকা :

আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী। তিনি ছিলেন আল্লাহ তায়ালার প্রিয় রাসূল। 

মহানবী সাঃ এর জীবন :

মহানবী সাঃ ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে মক্কা নগরীতে সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। তিনার আব্বার নাম আব্দুল্লাহ এবং মাতার নাম আমিনা। 

মহানবী সাঃ এর ছোটবেলা :

মহানবী সাঃ এতিম ছিলেন। কুরাইশ বংশের নেতা আব্দুল মুত্তালিব ছিলেন তার দাদা। তিনি প্রথমে তার দাদার বাড়িতে লালিত পালিত হন। দাদা ইন্তেকালের পর তার চাচা আবু তালিব তার লালন পালনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। 

বিবাহ :

তিনার ২৫ বছর বয়সে হযরত খাদিজা রাঃ এর সাথে বিয়ে হয়। তখন হযরত খাদিজা রাঃ এর বয়স ছিল ৪০ বছর। 

আরও পড়ুন :  রচনা : হযরত আবু বকর রাঃ জীবনী

উপসংহার : 

মহানবী সাঃ ১২ রবিউল আওয়াল ৬৩ বছর বয়সে মদিনায় ইন্তেকাল করেন।

মহানবী সাঃ এর জীবনী রচনা ২৫০ শব্দ

ভূমিকাঃ 

আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে নবী রাসূলগণ দুনিয়ার মধ্যে পাঠিয়েছেন। সমস্ত নবী-রাসূলদের সরদার হলেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ। তিনি হলেন সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশেষ নবী। তিনার ওপর নাজিল করা হয়েছে পবিত্র আল কুরআন। 

বাল্য জীবন :

মহানবী সাঃ ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে মক্কা নগরীতে সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের আগে তিনার পিতা মারা যান এবং জন্মের ছয় বছর পর তিনার মাতাও মারা যান।  তিনি এতিম ছিলেন। প্রথমে তিনি তিনার দাদা আব্দুল মুত্তালিব এর ঘরে লালিত পালিত হন। তিনার দাদা মৃত্যুর পর তিনি তিনার চাচা আবু তালিবের ঘরে পালিত হন। 

বিবাহ :

মহানবী সাঃ ২৫ বছর বয়সে বিয়ে করেন হযরত খাদিজা রাঃ কে।  তখন ওনার বয়স ছিলেন ৪০  বছর। 

নবুওয়াত লাভ :

৪০ বছর বয়সে তিনি নবুওয়াত লাভ করেন। পবিত্র মক্কার হেরা গুহায় হযরত জিব্রাইল আঃ আল্লাহ তায়ালার ওহী নিয়ে আগমন করেন। তিনি বলেন মহান আল্লাহ আপনাকে নবী – রাসূল বানিয়েছেন।

মহানবীর গুণাবলী :

মহানবী সাঃ অত্যন্ত সৎ গুনের অধিকারী ছিলেন। তিনি ছিলেন শান্ত, ভদ্র, নম্র, বিনয়ী ও উন্নত চরিত্রের অধিকারী। তিনি সর্বদা সত্য কথা বলতেন।সর্বদা সত্য কথা বলার কারণে তিনাকে আলআমিন উপাধি দেয়া হয়েছিল। আলআমিন শব্দের অর্থ হলো বিশ্বাসী। মহানবী সাঃ অত্যন্ত সহজ সরল জীবন যাপন করতেন।  

আচার ব্যবহার :

মহানবী সাঃ ছোট-বড় ধনী-গরীব দাস-দাসী সবাইকে ভালোবাসতেন।  দাস -দাসী ও কাজের লোকদের সাথে মধুর ব্যবহার করতেন। তাদেরকে ঘৃণা করতেন না ,গালাগালি করতেন না, মারধর করতেন না। তিনি অনেক দাসদাসী অন্যদের থেকে কিনে তাদেরকে মুক্তি করে দিতেন। 

আরও পড়ুন :  মাতা পিতার প্রতি কর্তব্য – রচনা ২০০ শব্দের । এবং class 3, 4, 5

উপসংহার :

আমাদের প্রাণপ্রিয় মহানবী সাঃ একাদশ হিজরীর ১২ই রবিউল আউয়াল ৬৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। 

মহানবী সাঃ এর জীবনী রচনা ৩০০ শব্দ

সূচনা : 

যুগে যুগে যেসব মহামানব পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়ে মানবজাতিকে সৎপথে পরিচালিত করেছেন, বিশ্বনবি হযরত মুহম্মদ (স) তাঁদের মধ্যে অন্যতম ।

জন্ম ও বংশপরিচয় : 

৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে আরবের বিখ্যাত কোরাইশ বংশে মহানবি হযরত মুহম্মদ (স)-এর জন্ম। তাঁর বাবার নাম আবদুল্লাহ এবং মায়ের নাম বিবি আমিনা ।

বাল্যকাল : 

মহানবি (স)-এর জন্মের আগেই তাঁর বাবা আবদুল্লাহ পরলোক গমন করেন। ছয় বছর বয়সে তিনি মাকেও হারান। মাতার মৃত্যুর পর পিতামহ আবদুল মুত্তালিব এবং চাচা আবু তালিব তাঁকে লালনপালন করেন । বাল্যকাল থেকেই তিনি চিন্তাশীল, পরোপকারী ও সত্যবাদী ছিলেন। সত্যবাদিতার জন্য লোকে তাঁকে ‘আল-আমিন’ বা ‘বিশ্বাসী’ উপাধিতে ভূষিত করেছিল।

শিক্ষা : 

হযরত মুহম্মদ (স) কোনো মক্তব বা পাঠশালায় শিক্ষা লাভের সুযোগ পাননি । তিনি আল্লাহপ্রদত্ত জ্ঞানে মহাজ্ঞানী ছিলেন।

সাধনা : 

চারদিকে অন্যায়, অত্যাচার, ব্যভিচার ও মনুষ্যত্বের অবমাননা থেকে কী করে মানবজাতিকে শান্তির পথে নিয়ে আসা যায়— এ চিন্তা করে তিনি হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানে মগ্ন হন ।

নবুয়ত প্রাপ্তি : 

৬১০ খ্রিষ্টাব্দে চল্লিশ বছর বয়সে হযরত মুহম্মদ (স) হযরত জিব্রাইল (আ)-এর মাধ্যমে আল্লাহর বাণী লাভ করেন।

ধর্মপ্রচার : 

আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, হযরত মুহম্মদ (স) তাঁর প্রেরিত রাসুল’- এ সত্যবাণী প্রচার করতে গিয়ে তিনি বহু বাধার সম্মুখীন হয়েছেন।

হিজরত : 

হযরত মুহম্মদ (স) মক্কায় কাফেরদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে আল্লাহর নির্দেশে কতিপয় বিশ্বস্ত সাহাবিসহ মদিনায় হিজরত করেন। এ হিজরতের তারিখ থেকে হিজরি সাল গণনা করা হয়।

মক্কা বিজয় : 

৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে হযরত মুহম্মদ (স) দশ হাজার মুজাহিদসহ বিনা রক্তপাতে মক্কা জয় করেন। শত্রু-মিত্র সবাই হযরতের ক্ষমার মহিমায় ও আদর্শে মুগ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহণ করে। 

আদর্শ চরিত্র : 

হযরত মুহম্মদ (স) ছিলেন দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ মানব।তিনি ছিলেন নিষ্পাপ, পবিত্র ও মহান চরিত্রের অধিকারী। তিনি ছিলেন আদর্শ মানুষ । আল্লাহর প্রতি গভীর অনুরাগ ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা তাঁর চরিত্রকে মহিমান্বিত করেছে। তাঁর পবিত্র জীবন সমগ্র মানবজাতির কল্যাণ ও মুক্তির অনুকরণীয় আদর্শ। 

উপসংহার : 

হযরত মুহম্মদ (স) ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ মহাপুরুষ। তিনি ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের ১২ই রবিউল আউয়াল ইহলোক ত্যাগ করেন।

আমার মূল লক্ষ্য একটাই (Sikkhagar-শিক্ষাগার) ওয়েবসাইটের হাত ধরে “শিক্ষা হবে উন্মুক্ত ও বাণিজ্যমুক্ত”। এই প্লাটফর্মে থাকবে একাডেমিক প্রস্তুতি, ভর্তি প্রস্তুতি, চাকরি প্রস্তুতি, স্পেশাল স্কিল এবং ধর্মীয় শিক্ষাসহ নানাবিধ বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের সুবর্ণ সুযোগ।

Leave a Comment

error: Content is protected !!