সূচনা :
জ্ঞানার্জনের একমাত্র মাধ্যম শিক্ষা। শিক্ষার মাধ্যমেই মানুষ জীবন ও জগতকে চিনতে পারে এবং নিজেকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারে। আর শিক্ষার মাধ্যমে সার্থক, সুন্দর ও পূর্ণাঙ্গ জীবনের পথপ্রদর্শন করে বিদ্যালয়। আমি এরূপ একটি বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করি। বিদ্যালয়টি আমাদের অঞ্চলের মধ্যে একটি আদর্শ ও বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
প্রতিষ্ঠা :
আমাদের বিদ্যালয়ের নাম বীণাপাণি সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি গোপালগঞ্জ জেলা সদরে অবস্থিত। ১৯৩০ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়েছে। প্রাচীন এবং আদর্শ বিদ্যাপীঠ হিসেবে বিদ্যালয়টির যথেষ্ট সুনাম রয়েছে।
অবস্থান :
আমাদের বিদ্যালয়টি শহরের ভিতরে মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। বিদ্যালয়টি শহরের ৪নং ওয়াডের অন্তর্গত। বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশ দিয়ে বয়ে গেছে মধুমতী নদী !
বিদ্যালয়গৃহের বর্ণনা :
আমাদের বিদ্যালয়ে একটি তিনতলা ভবন রয়েছে। সেখানে মোট ২০টি কক্ষ রয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সর্বমোট ১৫টি শ্রেণিকক্ষে ক্লাস হয়। অন্য কক্ষগুলোর মধ্যে একটি প্রধান শিক্ষকের কক্ষ, দুটি সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কক্ষ, একটি অফিসঘর ও একটি পাঠাগার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
আরও পড়ুন :- আমাদের গ্রাম রচনা ক্লাস ৬, ৭, ৮, ৯, ১০ এবং HSC – PDF
ছাত্রী ও শিক্ষক সংখ্যা :
আমাদের বিদ্যালয়ে ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় এক হাজার এবং শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা উনিশ জন । আমাদের বিদ্যালয়ের সকল ছাত্রী একে অপরের সাথে বোনের মতো আচরণ করে । শিক্ষিক- শিক্ষিকাগণও আমাদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখেন।
লেখাপড়ার পদ্ধতি :
আমাদের বিদ্যালয়ে প্রতি বছর প্রথম সাময়িক, অর্ধ বার্ষিক এবং বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রতি সপ্তাহে ও মাসে দু একটি শ্রেণিপরীক্ষা নেওয়া হয়। বছরান্তে তিনটি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের গড় হিসেবে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
খেলাধুলা ও অনুষ্ঠানাদি :
আমাদের বিদ্যালয়ে একটি বড় খেলার মাঠ আছে। বিদ্যালয় ছুটির পর মৌসুম অনুযায়ী ফুটবল, ক্রিকেট ও অন্যান্য খেলাধুলা হয়। বিদ্যালয়টিতে বিভিন্ন রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় । তা ছাড়া বছরান্তে পরীক্ষার পর আমরাও শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দের সঙ্গে বনভোজনে আনন্দ করি। জাতীয় দিবসগুলোও আমরা যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালন করি
আরও পড়ুন :- আমাদের মাদরাসা রচনা [ ক্লাস ৬, ৭, ৮, ৯, ১০ ]
পরীক্ষার ফলাফল :
বৈশিষ্ট্য :
উপসংহার :
আমাদের বিদ্যালয়টি একটি আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান । আমরা এজন্যে গর্ব অনুভব করি। এ বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েছি বলে নিজেকে ধন্য মনে করি ।