রাইবোজোম হলো কোষের সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত দানাদার রাইবোনিউক্লিও প্রোটিন কণা যা প্রোটিন সংশ্লেষণের স্থান হিসেবে কাজ করে ।
রাইবোসোমের প্রকারভেদঃ
1. 70S( আদিকোষ ) - 50S , 30S
2. 80S( প্রকৃতকোষ ) - 60S , 40S
রাইবোজোম এর গঠন :-
- এরা দুইস্তরী ঝিল্লী দ্বারা আবৃত ৷
- এদের ব্যাস ১০০-২০০ এ্যাংস্ট্রম ।
- এরা হিস্টোন জাতীয় প্রোটিন এবং রাইবোনিউক্লিয়িক অ্যাসিড (RNA) দিয়ে তৈরি ।
- প্রতিটি রাইবোসোম অসম দুইটি উপ-একক নিয়ে গঠিত।
- 70s রাইবোসোম 50s এবং 30s এই দুটি উপ-একক থাকে কিন্তু 80s রাইবোসোমে 60s এবং 40s এই দুটি উপ-একক থাকে ।
রাইবোজোম এর কাজ :-
১. রাইবোসোমের প্রধান কাজ হলো প্রোটিন সংশ্লেষণ করা ।
২. এরা স্নেহজাতীয় পদার্থের বিপাকেও ভূমিকা রাখে ।
রাইবোজোম এর অবস্থান
- ১. অমসৃণ এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলামের গায়ে,
- ২. নিউক্লিয়ার মেমব্রেনের গায়ে,
- ৩. মাইটোকন্ড্রিয়ার অভ্যন্তরে,
- ৪. সাইটোপ্লাজমে বিক্ষিপ্ত অবস্থায়।
রাইবোজোম কে প্রোটিন ফ্যাক্টরি বলে কেন?
সাইটোপ্লাজমে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়ানো গোলাকার বা ডিম্বাকার অঙ্গাণুর নাম রাইবোসোম। রাইবোসোমের প্রধান রাসায়নিক উপাদান হলো RNA এবং প্রোটিন। প্রোটিন সংশ্লেষণ করাই রাইবোসোমের প্রধান কাজ। প্রোটিন সংশ্লেষণের সাথে জড়িত থাকার কারণে রাইবোসোমকে কোষের প্রোটিন তৈরির কারখানা বলা হয় ।
আরও পড়ুন :- গলজি বস্তু কাকে বলে?গলগি বডির গঠন, কাজ। ট্রাফিক পুলিশ বলে?
রাইবোজোমকে সর্বজনীন অঙ্গাণু বলা হয় কেন?
ঝিল্লীবিহীন যে কোষীয় অঙ্গাণুতে প্রোটিন সংশ্লেষণ হয় তাকে রাইবোসোম বলে। সকল সজীব কোষে রাইবোসোম থাকে। তবে আদিকোষ ও প্রকৃত কোষে উপস্থিত থাকার কারণেই রাইবোসোমকে সর্বজনীন অঙ্গাণু বলা হয়। আদিকোষে 70 S ও প্রকৃতকোষে 80S ধরনের রাইবোসোম থাকে ।
FAQs
উত্তরঃ বিজ্ঞানী জর্জ প্যালেড।
২। রাইবোজোম এর উপাদান কি?