ছাত্র জীবন রচনা - ১
সূচনা
লেখাপড়া শিক্ষার জন্য যে সময় ব্যয় করা হয়, তাকে বলা হয় ছাত্রজীবন। ছাত্রজীবনেই জীবনকে সঠিকভাবে গড়ে তোলার শ্রেষ্ঠ সময়। ছাত্রজীবনে সাংসারিক জটিলতা মনকে কখনো কঠোর করে তোলে না।
তাই এ সময় তাদের প্রকৃত অর্থে মানুষ করে গড়ে তুলতে কোন কষ্ট হয় না। তাদের সৎ উপদেশ দিতে হবে ও সৎ লোকের সাথে চলাফেরা করতে হবে। সৎ শিক্ষা ও সৎসঙ্গ ছাড়া কেউ স্বগর্বে চলতে ফিরতে ও জ্ঞান অর্জন করতে পারে না।
কর্তব্য
ছাত্রজীবনেই মানুষকে সংসারের সব কাজের উপযুক্ত হতে হয়। লেখা পড়া ছাত্র জীবনের মুখ্য উদ্দেশ্য। লেখা-পড়া ফেলে রেখে অন্য কিছু করতে গেলে শেষ পর্যন্ত কোনটাই হয়ে ওঠে না।
চরিত্র গঠন
গুরুজন ও মাতা-পিতার কথা মান্য করা প্রত্যেক ছাত্রেরই কর্তব্য। তাঁরা সব সময় আমাদের মঙ্গল চান, আমাদের অমঙ্গলে তারা ব্যথিত হন। তাই ছাত্রজীবনে তাঁদের আদেশ মেনে নিয়ে লেখা পড়ায় সম্পূর্ণরূপে আত্মনিয়োগ করতে হয়।
আরও পড়ুন:- অধ্যবসায় রচনা - ২০০ শব্দ
নিয়মানুবর্তিতা
ছাত্রজীবনে শৃঙ্খলা ও সময়ানুবর্তিতা শিক্ষা করা দরকার। আমরা যদি এ সময় উচ্ছৃঙ্খল হই তবে সারা জীবনই উচ্ছৃঙ্খলতার মধ্য দিয়ে কেটে যাবে। চেষ্টা করলেও আর সুশৃঙ্খল হতে পারবো না ।
উপসংহার
ছাত্রজীবনকে ঠিকভাবে কাজ লাগানো প্রত্যেকেরই কর্তব্য। এ সময় যে সঠিকভাবে ব্যয় করে, সে ভবিষ্যত জীবনে সুখি হয়। আর এ সময় যে বৃথা নষ্ট করে তাকে সারাজীবন কষ্ট করতে হয়।
ছাত্র জীবন রচনা - ২
সূচনা
মানুষের জীবনে প্রাতিষ্ঠানিক বিদ্যা অর্জনের সময়টিই হচ্ছে ছাত্রজীবন। ছাত্রজীবন জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময়। কারণ, এ সময়ই মানুষের পরবর্তী জীবনের ভিত তৈরি হয়।
ছাত্রজীবনের গুরুত্ব
ছাত্রজীবনের সুশিক্ষা ভবিষ্যৎ জীবনের পাথেয়। আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনের সাফল্য বা ব্যর্থতা অনেকাংশেই ছাত্রজীবনের ওপর নির্ভর করে, তাই কোনোভাবেই ছাত্রজীবনকে অবহেলা করার সুযোগ নেই ।
ছাত্রজীবনের কর্তব্য:
ছাত্রজীবনের প্রথম ও প্রধান কর্তব্য সঠিকভাবে লেখাপড়া করা। এ সময় ছাত্রদের উচিত নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলা ও আদর্শ জীবন গঠন করা। অপ্রয়োজনীয় কাজে সময় নষ্ট করা যাবে না। এ ব্যাপারে শিক্ষক ও অভিভাবকদের উপদেশ ও আদেশ মেনে চলতে হবে। ছাত্রজীবনেই প্রাথমিকভাবে জীবনের লক্ষ্য স্থির করতে হবে এবং সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে ।
আরও পড়ুন :- সময়ের মূল্য - রচনা 200 words [ ক্লাস 3, 4, 5 ]
আদর্শ মানুষ হওয়ার প্রস্তুতি
বিদ্যার্জনের পাশাপাশি ছাত্রদের উন্নত নৈতিক ও মানবিক গুণ অর্জন করতে হবে। তাই ছাত্রজীবনে চরিত্র গঠনে বিশেষ মনোযোগী হতে হবে। ছাত্রজীবনের মূল আদর্শ হওয়া উচিত সততা । ছাত্ররাই ভবিষ্যতের নাগরিক বলে বিভিন্ন জনসেবামূলক কাজে তাদের অংশগ্রহণ করা উচিত। এতে তারা ভবিষ্যতে সমাজ ও রাষ্ট্রে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
স্বাস্থ্য গঠন ও সংস্কৃতি চর্চা
পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রদের খেলাধুলা তথা শরীর গঠন এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশ নিতে হবে। এর মাধ্যমে তারা সুস্থ শরীর ও মনের অধিকারী হবে ।
উপসংহার
ছাত্ররাই দেশের ভবিষ্যৎ। তারাই একদিন বড় হয়ে দেশের হাল ধরবে। তাই সুশিক্ষা লাভ করে নিজের এবং দেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করা প্রত্যেক ছাত্রেরই কর্তব্য।
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরও পোস্টের তালিকা