উপস্থাপনা : ইসলামের পাঁচটি স্তরের মধ্যে অন্যতম একটি স্তর হলো সাওম বা রোজা। যা মুসলিম মিল্লাতের তাকওয়া অর্জনের শ্রেষ্ঠতম হাতিয়ার হিসেবে ফরজ করে দিয়েছেনা। আত্মসংযম, আত্মনিয়ন্ত্রণ, আত্মশুদ্ধি ও অধ্যাত্মিক উন্নতি সাধনে রোজা একটি অপরিহার্য ইবাদত।
সাওম এর আভিধানিক অর্থ :-
- ১। কাজ থেকে বিরত থাকা।
- ২। কঠোর সাধনা করা।
- ৩। অবিরাম প্রচেষ্টা।
- ৪। আত্মসংযম।
- ৫। আবু ওবাইদা বলেন - كل ممسك عن طعام او كلام
সংজ্ঞা :- সুবহে সাদেক হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজার নিয়ত করে সকল প্রকার পানাহার, পাপাচার, স্ত্রী সহবাস সহ যাবতীয় নিষিদ্ধ কাজ হতে বিরত থাকাকে সাওম বা রোজা বলা হয়।
সাওম এর প্রকারভেদঃ
সাওম তথা রোজা ৬ প্রকার। যথা-
১। ফরজ রোজা।
যেমন :- রমজান মাসের রোজা। এ ব্যাপারে পবিত্র কুরআনে এসেছে - فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ
২। ওয়াজিব রোজা।
যেমন : মান্নতের রোজা, রমজানের কাযা রোজা, কাফফারার রোজা ও নফল রোজা করলে তার কাযা।
৩। সুন্নত রোজা।
যেমন : জুমার দিনের রোজা রাখা। তাছাড়া আশুরা, শবেবরাত ও শবে মেরাজ ইত্যাদির রোজা রাখা।
৪। নফল রোজা।
যেমন : বছরের নিষিদ্ধ ৫ দিন ব্যতীত যে কোনদিন আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে রোজা রাখা।
৫। মাকরূহ রোজা।
যেমন : আশুরায় একদিন রোজা রাখা, শুধু শনিবার রোজা রাখা এবং সওমে বেসাল তথা অনবরত রোজা রাখা, সন্দেহের দিন রোজা রাখা।
৬। হারাম রোজা।
যেমন : বছরে ৫ দিন রোজা রাখা হারাম। দুই ঈদের দিন ও কুরবানীর ঈদের পরের ৩ দিন।