ছোটদের মহানবী সাঃ - রচনা (২টি)

মহানবী সাঃ রচনা - ১

ভূমিকা  

আমার প্রিয় মানুষ হযরত মুহম্মদ (স.) ইসলামের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবি ও রাসুল। তিনি ছিলেন একাধারে নবি ও রাসুল, ধর্মীয় প্রধান, আইন প্রণেতা ও রাষ্ট্রপ্রধান।

বাল্যকাল  

আরব দেশের মক্কা নগরে বিখ্যাত কুরাইশ বংশে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে হযরত মুহম্মদ (স) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল্লাহ ও মাতার নাম আমিনা।

চরিত্র  

বাল্যকাল হতে তিনি ছিলেন চিন্তাশীল, পরোপকারী ও সত্যবাদী। তাঁর সত্যবাদিতার জন্য লোকে তাঁকে আল-আমিন বা 'বিশ্বাসী' উপাধি প্রদান করেছিল।

ওহি লাভ ও ধর্ম প্রচার  

৪০ বছর বয়সে ৬১১ খ্রিস্টাব্দে হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্নকালে তাঁর কাছে ওহি আসে। তিনি সত্য ধর্ম, শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রচারের জন্য আদিষ্ট হন। কিন্তু মূর্তিপূজক আরবরা তাঁর পথে তীব্র বাধা দিতে থাকে। 

মুষ্টিমেয় ক'জন ছাড়া তিনি প্রচারকাজে তেমন অগ্রগতি অর্জন করতে পারেন নি। ফলে দীর্ঘ ১৩ বছর মক্কার পথে- প্রান্তরে ঘুরে প্রায় বিফল হয়ে আল্লাহর নির্দেশে মদিনায় হিযরত করেন। 

আরও পড়ুন :- মহানবী সাঃ এর জীবনী - রচনা ১০০, ২০০ ও ৩০০ শব্দ - PDF

মুহম্মদ (স)-এর সংগ্রামী জীবন  

মুহম্মদ (স) আজীবন অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। সমাজ থেকে জুলুম নির্যাতন দূর করে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠাই ছিল মুহম্মদ (স)-এর জীবনের একমাত্রলক্ষ্য ।

ইন্তেকাল  

হযরত মুহম্মদ (স) ৬৩ বছর বয়সে ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে মদিনায় ইন্তেকাল করেন ।

উপসংহার  

বিশ্বনবি হযরত মুহম্মদ (স) সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ। তাঁর গোটা জীবন ছিল পূত-পবিত্র উন্নত চরিত্রগুণে গুণান্বিত। সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য তিনি ছিলেন রহমতস্বরূপ। তাই তিনি আমাদের সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তিত্ব।

মহানবী সাঃ রচনা - ২

ভূমিকা  

পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তা মানব জাতিকে হেদায়াত করার জন্য যুগে যুগে নবি-রাসূল প্রেরণ করেছেন নবিগণের মধ্যে হযরত মুহম্মদ (স) ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ। পৃথিবীতে তাঁর মতো এত সাফল্য কোনো নবি-রাসূলই অর্জন করতে পারেননি বলে তাঁকে মহানবি বলা হয়। তিনিই সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবি।

জন্ম ও পরিচয়  

হযরত মুহম্মদ (স) ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল রোজ সোমবার মক্কা নগরীর বিখ্যাত কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল্লাহ এবং মাতার নাম বিবি আমেনা ।

বাল্যকাল  

হযরত মুহম্মদ (স)-এর বাল্যকাল ছিল অত্যন্ত দুঃখ-কষ্টের। জন্মের পূর্বেই তিনি পিতাকে হারান এবং জন্মের কিছুকাল পর স্নেহময়ী মাতাও তাঁকে এতিম করে পৃথিবী ছেড়ে চলে যান। তিনি প্রথমে পিতামহ আবদুল মোত্তালিব এবং পিতামহের মৃত্যুর পর চাচা আবু তালেবের নিকট লালিতপালিত হন। বাল্যকাল হতেই তিনি ছিলেন চিন্তাশীল, পরোপকারী ও সত্যবাদী। সত্যবাদিতার জন্য আরবের লোকেরা তাঁকে 'আল আমিন' বা বিশ্বাসী বলে ডাকত।

আরও পড়ুন :- আমার প্রিয় শিক্ষক - রচনা for class 1, 2, 3, 4, 5

নবুয়ত প্রাপ্তি ও ধর্ম প্রচার  

হযরত মুহম্মদ (স) ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত প্রাপ্ত হন। নবুয়ত প্রাপ্তির পর পরই তিনি ‘আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়, তাঁর কোনো শরীক নেই'-এই মহাসত্য প্রচার শুরু করেন। এ সময় তাঁর ওপর নেমে আসে মক্কাবাসী কাফিরদের সীমাহীন অত্যাচার-নির্যাতন। কিন্তু তিনি সকল অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে ইসলামের মহাসত্য প্রচার করতে থাকেন।

হিজরত  

আরবের বিধর্মীরা নবিজীকে (স) হত্যা করার সংকল্প নিয়ে যখন তাঁকে খুঁজতে লাগল তখন আল্লাহর আদেশে তিনি ৬২২ খ্রিস্টাব্দে জন্মভূমির মায়া ত্যাগ করে মদিনায় হিজরত করেন।

মক্কা বিজয়  

৬২৮ খ্রিস্টাব্দে নবিজী (স) সাহাবাগণসহ মক্কায় হজ্ব করতে এসে কুরাইশদের সাথে সন্ধি করেন। সন্ধির শর্ত ভঙ্গ করলে ৬৩০ খ্রিস্টাব্দে দশ হাজার মুজাহিদ নিয়ে মক্কা জয়ের জন্য নবিজী (স) অগ্রসর হন। মহান আল্লাহর রহমতে মক্কা বিজয় সম্ভব হয় এবং ইসলামের ছায়াতলে এসে মানুষ আশ্রয় নেয়। এভাবে ধীরে ধীরে সারা বিশ্বে ইসলাম ধর্মের প্রসার ঘটে। এভাবে তিনি ইসলাম ধর্ম প্রচার করে ৬৩২ খ্রিস্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল পরলোক গমন করেন।

উপসংহার  

সর্বগুণে গুণান্বিত নবিজী (স) ছিলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানব। তাঁর চরিত্রে কোনো অপূর্ণতা ছিল না। তাঁর সমগ্র জীবন আমাদের জন্য আদর্শ স্বরূপ। আমরা সকল কাজে তাঁর আদর্শকে মেনে চলার চেষ্টা করব। তাঁর প্রচারিত ইসলাম ধর্ম কেয়ামত পর্যন্ত পৃথিবীর বুকে চির অম্লান হয়ে বেঁচে থাকবে।

আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরও পোস্টের তালিকা

Post a Comment

0 Comments

Bottom Post Ad