বন্ধুর বাবার মৃত্যুতে সমবেদনা জানিয়ে পত্র :-
আল্লাহু আকবার
প্রিয় পলাশ,
পত্রের শুরুতে তোমাকে জানাচ্ছি আমার বেদনার্ত হৃদয়ের ভালবাসা। কি বলে যে তোমাকে সান্ত্বনা দিব সে ভাষা আমার জানা নেই। যখন তোমার আব্বার মৃত্যুর সংবাদ আমার কানে এসে পৌঁছে তখন কে যেন আমার হৃদয়ে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করল । অনেকক্ষণ চেতনাহীন ছিলাম । খালুজী মারা যাওয়াতে তোমার যে ক্ষতি হলো তা পূরণ হবার নয় ।
তবুও বলি পৃথিবীতে কেউ অমর নয় । আজ হউক কাল হউক সকলকেই পৃথিবী থেকে চলে যেতে হবে। তুমি ভেঙে পড়ো না। তবুও বাঁচার মত বাঁচতে হবে। তুমি ভেঙে পড়লে তোমার ছোট ভাই বোনগুলো কি করবে। অন্তত তাদের মুখের দিকে তাকিয়ে তুমি শক্ত হও। তুমি সবাইকে সান্ত্বনা দিও। আমি সহসাই তোমার কাছে আসছি।
সবশেষে খালাম্মাকে সালাম, মাহমুদা ও খালেদকে স্নেহ দিয়ে আজকের মতো বিদায় ।
প্রেরক নাম - সুমন গ্রাম - ধলাপাড়া , ডাক ঘর- ধলাপাড়া জেলা - টাঙ্গাইল । |
ডাকটিকেট প্রাপক নাম - পলাশ গ্রাম - শহীদগঞ্জ ডাক ঘর- সিরাজগঞ্জ জেলা - সিরাজগঞ্জ |
আরও পড়ুন :- মায়ের অসুস্থতার কথা জানিয়ে বাবাকে পত্র [ খাম আঁকা সহ ২টি ]
বন্ধুর মায়ের মৃত্যুতে সান্তনা দিয়ে পত্র :-
প্রিয় সজীব,
আমার শুভেচ্ছা নিও। তোমার মায়ের মৃত্যু উল্লেখপূর্বক চিঠিটা এইমাত্র পেলাম। চিঠিটা পাওয়ার পর হতেই আমি আপনজন হারানোর বেদনা অনুভব করছি। ভাবতেই পারিনি তিনি আমাদের মাঝ থেকে এত তাড়াতাড়ি চিরবিদায় নেবেন। তিনি আমাকেও সন্তানের মতো ভালোবাসতেন। অতএব তুমি শুধু তোমার মাকে হারওনি আমিও একজন মাকে হারিয়েছি। পৃথিবীতে মায়ের মৃত্যুর মতো বড় কষ্ট অন্যকিছুতে নেই ।
তোমাকে সান্ত্বনা দেবার ভাষা আমার জানা নেই। তবুও বলছি পৃথিবীতে কেউই চিরকাল বেঁচে থাকে না। সময়ের পরিক্রমায় একদিন সবাইকে যেতে হবে। তাই ধৈর্য ধরতে হবে। এতকিছুর পরও চেষ্টা কর সবকিছুকে মেনে নিতে। তোমাকে ভেঙে পড়লে চলবে না। খালাম্মা যেভাবে তোমাকে মানুষ করতে চেয়েছিলেন সেভাবে নিজেকে যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা কর। তবেই তো পূর্ণ হবে মায়ের আশা।
আজ আর লিখছি না। দোয়া করি তিনি যেন জান্নাতবাসী হন। আমি তোমার পাশে আছি সবসময়। তোমাদের সকলের প্রতি রইল আমার সমবেদনা ও আন্তরিক ভালোবাসা। মন খারাপ কর না। চিঠি দিও।
প্রেরক নিঝুম মোহাম্মদপুর ঢাকা |
ডাকটিকেট প্রাপক সজীব সদর রোড পটুয়াখালী |