হোম পদার্থ রসায়ন জীব ইসলামিক

সুন্দরবনের বর্ণনা দিয়ে বন্ধুর কাছে চিঠি – খাম আঁকা সহ

সন্দরবনের বর্ণনা দিয়ে বন্ধুর কাছে চিঠি :-

আল্লাহ ভরসা 

সাতক্ষীরা
২৮/০৪/২০২৪ইং

 প্রিয় মম,

কেমন আছ? আমি ভালো। অনেক দিন তোমার খবর নেই। তুমি গত চিঠিতে সুন্দরবন সম্পর্কে জানতে চেয়েছ। আজ তোমাকে সুন্দরবনের মজার মজার কাহিনী শোনাব ।

বাংলাদেশের জাতীয় বনের নাম হলো সুন্দরবন। এটি বাংলাদেশের খুলনা ও বাগেরহাট অঞ্চলে অবস্থিত। এ বনকে পৃথিবীর বৃহত্তম ‘ম্যানগ্রোভ’ ফরেস্ট বা লবণাক্ত জলাভূমির বনও বলা হয়। এর আয়তন প্রায় ছয় হাজার বর্গ কিলোমিটার। প্রচুর সুন্দর বৃক্ষ জন্মায় বলে এ বনের নাম রাখা হয় সুন্দরবন। এ বনে সুন্দরী, গোলপাতা, গেওয়া, কেওড়া, বাইন, পশুর, গরান ইত্যাদি গাছ রয়েছে।

সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে বাস করে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরিণ, বানর, বন্য শূকর, সজারুসহ প্রায় ৪২ প্রজাতির বন্যপ্রাণী এছাড়া টিয়ে, ময়না, শালিক, শ্যামা, দোয়েল, ঘুঘু, বক, সারস, বনমোরগ ও বুনোহাঁস এবং সরীসৃপ প্রজাতির মধ্যে রয়েছে কুমির, সাপ, হাঙ্গর, ব্যাঙ, গুইসাপ প্রভৃতি।

সুন্দরবন প্রাণীদের অবাধ বংশ বিস্তার ও নিরাপত্তার জন্য ‘অভয়ারণ্য’। বন্যপ্রাণী ও জলজ মৎস্যের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্রকে দেখার জন্য দেশি-বিদেশি অসংখ্য পর্যটক সুন্দরবনে আসে।

আজ আর নয় । তোমার মা বাবাকে আমার সালাম দিও। ছোটদের জন্য রইল স্নেহ ও প্রীতি । চিঠি পাওয়ার অপেক্ষায় রইলাম

ইতি
তোমার শিলা
প্রেরক
শিলা
জলঢাকা
নীলফামারী
ডাকটিকেট
প্রাপক 
মম
শ্যামনগর

সাতক্ষীরা

আরও পড়ুন :- বনভোজনের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে পত্র – ৭ম, ৮ম এবং ৯ম  শ্রেণী

সুন্দরবনের অভিজ্ঞতার বর্ণনা জানিয়ে বন্ধুর কাছে চিঠি :-

ইয়া রাহমানু
ঢাকা- ১১০০
২৫ মার্চ, ২০২৪ইং
প্রিয় শাকিলা,

আমার ভালবাসা নিও। আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালোই আছো। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। গত সপ্তাহে আমি আমার কয়েকজন সহপাঠিসহ সুন্দরবন পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। সেখানকার  অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তোমাকে এখন জানাচ্ছি।

সুন্দরবন সত্যিই গভীর জঙ্গলে পরিপূর্ণ। বিভিন্ন হিংস্র জীবজন্তুর ভয়ে বনের ভিতরে প্রবেশ করিনি। আমরা নৌকা করে ম্যানগ্রোভ অঞ্চলে প্রবেশ করি। সেখানে প্রকৃতির বিভিন্ন গাছপালা ও বিভিন্ন জীবজন্তু দেখে মুগ্ধ হয়ে পড়ি। দূর থেকে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরিণ, বানর, বন্যশূকর, সজারুসহ অনেক জীবজন্তু দেখতে পাই।

বিভিন্ন পাখির কিচিরমিচির শব্দ পরিবেশকে মুখরিত করে রাখে। আমাকে বেশি আনন্দ দেয় বুনোহাঁস ও বনমোরগ। আমার কাছে মনে হয় হাজার হাজার প্রজাতির পাখির বাস এখানে। তুমি না গেলে আর না দেখলে বিশ্বাস করতে পারবে না, সেখানকার পরিবেশ কত মনোমুগ্ধকর। আমার আশা তুমিও একবার সুন্দরবন পরিদর্শনে যাবে।
আজ আর নয়। তোমার আব্বা-আম্মাকে আমার সালাম দিও ৷ 
ইতি
তোমারই বন্ধু
নাবিলা

প্রেরক
নাবিলা
আটিবাজার
ঢাকা
ডাকটিকেট
প্রাপক 
শাকিলা
কেরানিহাট

চট্টগ্রাম

Leave a Comment

error: Content is protected !!