গ্রীষ্মের ছুটি কীভাবে কাটাবে তার বিবরণ দিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র :-
প্রিয় রাশাদ,
আমার শুভেচ্ছা গ্রহণ কর। তোমার চিঠি পেয়েছি। চিঠিতে তোমাদের কুশলাদি জানতে পেরে আনন্দিত এবং নিশ্চিন্ত হয়েছি। তুমি জানতে চেয়েছ আগামী গ্রীষ্মের ছুটি আমি কিভাবে কাটাতে চাই ।
কয়েক দিন পরই আমাদের স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি শুরু হবে। প্রথম এক সপ্তাহ আমি ঢাকাতেই কাটাব। মা বলেছেন, স্কুলের পড়া এবং বাড়ির কাজ সমাপ্ত করা আমার প্রথম কাজ। মা এখনও বলেছেন, যদি আমি এবং আমার ভাই শিক্ষকের নির্দেশমতো পড়া শেষ করি তাহলে ছুটির বাকি দিনগুলোতে মামার বাড়ি বেড়াতে নিয়ে যাবেন।
আমার মামার বাড়ি কুমিল্লা শহরে। সেখানে নীলাচল পাহাড়, ময়নামতি এবং অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলোতে আমরা ঘুরে বেড়াব। মামির হাতে তৈরি আমের আচার আর আমসত্ত্বের কথা ভাবলে এখনই জিভেতে জল আসে। আর অনেক রাত পর্যন্ত মামার মুখে ‘আষাঢ়েগল্প’ শোনার ইচ্ছা মামা বাড়ির বড় একটি আকর্ষণ । দোয়া কর যেন ইচ্ছা পূরণ হয়।
আমরা ভালো আছি। খালাম্মা ও খালুজিকে আমার সালাম দিও। বর্ণালি কেমন আছে? ওকে আমার আদর জানিও। চিঠির উত্তর দিও।
প্রেরক নাম – সমির
ঠিকানা : বাড়ি নম্বর-৭ রোড নম্বর-১২ মিরপুর-২, ঢাকা-১২১৬
|
ডাকটিকেট
প্রাপক
নাম – মো: রাশাদ
গ্রাম – ভবানীপুর
ডাক ঘর- ভবানীপুর |
আরও পড়ুন :- পত্র লিখন – একটি বিজ্ঞান মেলার বর্ণনা দিয়ে বন্ধুর নিকট [ ২টি ]
গ্রীষ্মের ছুটি কেমন কাটালে তা নিয়ে বন্ধুকে একটি পত্র :-
আমার প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল। গতকাল তোমার চিঠি পেয়েছি। তুমি জানতে চেয়েছ গ্রীষ্মের ছুটিতে এবার আমি কী কী করেছি।
এবার গ্রীষ্মের ছুটিতে আমরা সবাই মামার বাড়ি কুমিল্লা বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমরা অনেক মজা করেছি। আমার মামাতো ভাইবোনদের নিয়ে গ্রামের মাঠে-ঘাটে ঘুরে বেড়িয়েছি। আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু ইত্যাদি মৌসুমী ফল গাছ থেকে পেড়ে খেয়েছি। বিকালে গ্রামের মাঠে অন্যান্য ছেলেদের সাথে ফুটবল, ক্রিকেট খেলেছি।
প্রেরক নাম – মিঠু গ্রাম – দীঘিপাড়া, ডাক ঘর- গোনা জেলা – নওগাঁ । |
ডাকটিকেট
প্রাপক
নাম – সেলিম
গ্রাম – তেরখাদিয়া
ডাক ঘর- সেনানিবাস |
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরো পোস্টের তালিকা
সুন্দরবনের বর্ণনা দিয়ে বন্ধুর কাছে চিঠি – খাম আঁকা সহ
বনভোজনের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে পত্র – ৭ম, ৮ম এবং ৯ম শ্রেণী
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনা দিয়ে বিদেশি বন্ধুর নিকট পত্র