উপস্থাপনা :
সভ্য জাতিগঠনে শিক্ষকের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাঁদের মাধ্যমেই ছাত্র-ছাত্রীরা সভ্য, সুন্দর ও আদর্শ মানুষে পরিণত হয়। তাই শিক্ষকদের প্রতি প্রত্যেকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে।
শিক্ষকের পরিচয় :
সৃষ্টির শুরু থেকেই মানুষ একে অপরের কাছ থেকে জ্ঞানলাভ করে আসছে। যিনি কাউকে কোনো বিষয়ে শিক্ষা দেন তিনিই শিক্ষক হিসেবে পরিচিত।
শিক্ষকের প্রতি ছাত্রদের দায়িত্ব ও কর্তব্য :
শিক্ষকের প্রতি ছাত্রদের অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। শিক্ষককে সর্বদা পিতার মতো সম্মান করতে হবে। তাঁদের আদেশ- নিষেধ মেনে চলতে হবে। তাঁদের মনে কখনো কষ্ট দেওয়া যাবে না। সর্বোপরি তাঁদের আদর্শ অনুসরণ করতে হবে এবং তাঁদেরকে যথাযথ মর্যাদা দিতে হবে।
আরও পড়ুন : মাতা পিতার প্রতি কর্তব্য - রচনা ২০০ শব্দের । এবং class 3, 4, 5
শিক্ষকদের প্রতি সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য :
আর্থিক বুনিয়াদ না থাকলে আদর্শ কখনো বেঁচে থাকতে পারে না। তাই সরকারকে শিক্ষকদের আর্থিক সম্মানিসহ সব ধরনের সমস্যার সমাধান করতে হবে। তবেই শিক্ষকগণ তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে উৎসাহী হবেন।
জনসাধারণের দায়িত্ব ও কর্তব্য :
সাম্প্রতিককালে সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, দুর্নীতি, রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিতিশীলতার কারণে শিক্ষকদের অবস্থা খুবই করুণ। এ অবস্থায় জনসাধারণ সচেতন হয়ে তাঁদের সমস্যার সমাধান করলে জাতিগঠনে তাঁরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারবেন।
শিক্ষকদের কর্তব্য :
শিক্ষকরা জাতির পথপ্রদর্শক। তারাই জাতির বিবেক ও মানুষ গড়ার শ্রেষ্ঠ কারিগর। তাই জাতি, সমাজ ও এদেশের বৃহত্তর স্বার্থে তাদেরকে ছাত্রদের মধ্যে শিক্ষালাভের আকাঙ্ক্ষা জাগিয়ে তুলতে হবে। এটাই তাদের প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য।
উপসংহার :
একজন আদর্শ শিক্ষক যেকোনো জাতির জন্য বিশেষ আশীর্বাদস্বরূপ। তাই তাঁদের প্রতি যে দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে তা সবাইকে যথাযথভাবে আদায় করা উচিত।
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরও পোস্টের তালিকা