সুজলা-সুফলা, শস্য- শ্যামলা আমার এই প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। এদেশে প্রাকৃতিক নিয়মেই ৬টি ঋতুর আগমন ঘটে বিভিন্ন বিচিত্র এবং বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য নিয়ে। প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুগণ, তোমাদের সুবিধার জন্যই গ্রীষ্মকাল, বর্ষাকাল, শরৎকাল ও বসন্তকাল সম্পর্কে ১০টি করে বাক্য তৈরী করে দেখানো হলো।
গ্রীষ্মকাল সম্পর্কে ১০টি বাক্য :
- বাংলাদেশের ষড়ঋতুর মধ্যে গ্রীষ্মকাল হলো প্রথম ঋতু। বৈশাখ ও জৈষ্ঠ্য এই দুই মাস হলে গ্রীষ্ম ঋতু।
- গ্রীষ্মকাল আগমন হয় খাঁ খাঁ রোদ আর কালবৈশাখী ঝড় নিয়ে।
- গ্রীষ্মকালের প্রখর রোদে মাঠ- ঘাট ফেটে চৌচির হয়ে যায়। জনজীবন হয়ে ওঠে অতিষ্ঠ।
- গ্রীষ্মকালের বেলা হয় অত্যন্ত দীর্ঘ। কারন এ সময় দিন অনেক বড় হয়।
- গ্রীষ্মাকালে মাঝে মাঝে কাল বৈশাখী ঝড় হয়ে সবকিছু লন্ডভন্ড করে দেয়।
- গ্রীষ্মকালের প্রকৃতি অনেক কঠিন হয়ে পড়লেও এ সময় পচুর পরিমানে ফল পাওয়া যায়।
- গ্রীষ্মকে মধুমাস বলা হয়। কারন গ্রীষ্মে আম, জাম, কাঠাল, লিচু প্রভিতি নানা রকম ফলে ভরপুর থাকে।
- গ্রীষ্মের প্রচন্ড় তাপের কারনে মানুষ কলেরা, ডায়রিয়া, সর্দি ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হয়।
- বাংলাদেশের ছয়টি ঋতুর মধ্যে গ্রীষ্মের স্বকীয় বৈশিষ্ট্য উজ্জ্বল।
- এ ঋতুতে আমরা যেমন অনেক ফলমূল পাই তেমনি অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগেরও মুখোমুখি হই।
আরও জানুন : পহেলা বৈশাখ, ইলিশ মাছ ও বৈশাখী মেলা সম্পর্কে ১০টি বাক্য
বর্ষাকাল সম্পর্কে ১০টি বাক্য :
- গ্রীষ্মের পরেই আসে বর্ষা। বর্ষা হলো আমাদের দেশের ছয়টি ঋতুর মধ্যে দ্বিতীয় ঋতু।
- এদেশে বর্ষার আগমন কখনো দেরিতে হয়, আবার কখনো জৈষ্ঠ্য মাসেই বর্ষা শুরু হয়।
- গ্রীষ্মের প্রচন্ড উত্তাপের মাঝে বর্ষা শান্তির বার্তা নিয়ে হাজির হয়।
- বর্ষার আগমনে এদেশে নদী-নালা, খাল-বিল, মাঠ-ঘাট পানিতে ভরপুর হয়ে যায়।
- বর্ষার আগমনে গাছপালা নতুন পানির স্পর্শে সতেজ, সবুজ শ্যামল রুপ ধারন করে।
- কৃষি প্রধান এদেশে ফসল নির্ভর করে অনেকাংশে বর্ষার উপর।
- যে বছর বর্ষায় পরিমাণ মতো বৃষ্টি হয়, সে বছর প্রচুর ফলন হয়।
- বর্ষা আমাদের জন্য কল্যানকর বটে, তবে অনেক সময় অতিরিক্ত বৃষ্টি বা নদীর পানি বন্যা ঘটায়।
- বাংলার বেশিরভাগ গ্রামগুলো নিচু এলাকায় হওয়ার বর্ষাকালে গ্রাম বাংলার মানুষদের অনেক কষ্ট পোহাতে হয়।
- আমাদের এদেশ কৃষি প্রধান দেশ বলে এখানে বর্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।
আরও জানুন : পাহাড়পুর, সুন্দরবন ও রয়েল বেঙ্গল টাইগার সম্পর্কে ১০টি বাক্য
শরৎকাল সম্পর্কে ১০টি বাক্য :
- বাংলাদেশের ছয়টি ঋতুর মধ্যে শরৎকাল হলো তৃতীয় ঋতু।
- মেঘ ও রৌদ্রের মাঝে সম্মেলনে ঘটিয়ে শরৎকালের আগমন ঘটে।
- বর্ষার অনেক অত্যাচারের পর শরৎকালের আকাশ এক নতুন রুপে সজ্জিত হয়।
- শরৎকালে যেন প্রকৃতি এক নতুন রুপে সাজে। মাঠে মাঠে থাকে সবুজ ধানের সমারোহ।
- শরৎকালে গ্রাম বাংলার মানুষগুলো নানা উৎসবে আনন্দে মুখর হয়ে ওঠে।
- শরতের সকাল খুবই স্নিগ্ধ কোমল ও শান্ত রুপ নিয়ে আত্মপ্রকাশিত হয়।
- শরৎকালে ফুটে শেফালি, মালতী, জুঁই, টগর আরো নানা জাতের ফুল।
- শরৎকালে হিন্দুদের শ্রেষ্ঠ উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়।
- শরৎকালে কিছু অসুবিধেও রয়েছে। এ সময় খাল বিলের পানি শুকিয়ে যায়। ফলে বিভিন্ন জায়গায় লতাপাতা পঁচে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে।
- বাংলার শরৎ প্রকৃতিতে এক অপরুপ সৌন্দর্যের পরশ মেখে দেয়।
আরও জানুন : শীতকাল ও শীতের সকাল সম্পর্কে : ১৫টি করে বাক্য
বসন্তকাল সম্পর্কে ১০টি বাক্য :
- বাংলার ষড়ঋতুর মধ্যে সর্বশেষ ঋতু হলো বসন্ত। ফাল্গুন ও চৈত্র এই দুই মাস হলো বসন্ত কাল।
- ছয়টি ঋতুর মধ্যে সর্বসেরা ঋতু হলো বসন্ত। এজন্য বসন্তকে ঋতুরাজ বলা হয়।
- প্রকৃতিতে বসন্তের আগমনে গাছে গাছে নতুন পাতা ও ফুল দেখা যায়।
- বসন্তকালে এই বিশাল আকাশ হয়ে উঠে সৌন্দর্যপুরী। বসন্তী আকাশ হয় নির্মল।
- বসস্তের প্রকৃতির এই নতুন সাজকে পূর্নতা দান করে পাখির কলধ্বনি।
- বসন্তকাল যেন মানব জীবনকে এক নতুন পদচারনায় উন্মুখ করে তোলে।
- কেবল বাংলাদেশেই এ ঋতুটি জনজীবনকে এত সৌন্দর্য, এত সুর আর গানে ভরপুর করে তুলে।
- পায়লা ফাল্গুনে অনুষ্ঠিত হয় বসন্ত উৎসব নাগরিক জীবনে একটি বিশেষ আনন্দের দিন।
- শীতের জীর্নতা শীর্নতা কাটিয়ে দিয়ে আগমন ঘটে এই বসন্ত ঋতুর।
- আমাদের সবার প্রিয় এ ঋতুরাজ বসন্ত । এ ঋতু আমাদের চিন্তা চেতনা ও সংস্কৃতির সাথে একসূত্রে গাঁথা।
আরও জানুন : মুক্তিযুদ্ধ,একুশে ফেব্রুয়ারি ও ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে ১০টি বাক্য