সকর্মক ক্রিয়া : যে ক্রিয়ার কর্ম থাকে, তাকে সকর্মক ক্রিয়া বলে। যেমন- শেলী সৌদি যাবে। এখানে ‘সৌদি’ ‘যাবে’ ক্রিয়ার কর্ম। কারণ শেলী যাবে, বললে কোথায় যাবে প্রশ্নটা জানার আকাঙ্ক্ষা থাকে ।
যে সকর্মক ক্রিয়ার দুটি কর্ম থাকে, তাকে দ্বি-কর্মক ক্রিয়া বলে। যেমন-বাবা আমাকে একটি ঘড়ি দিয়েছেন। দ্বিকর্মক ক্রিয়ার বস্তুবাচক কর্মপদটিকে মুখ্য কর্ম এবং ব্যক্তিবাচক কর্মপদটিকে গৌণ কর্ম বলে ।
অকর্মক ক্রিয়া : যে ক্রিয়ার কর্ম থাকে না, তাকে অকর্মক ক্রিয়া বলে। যেমন- সে খেলে। আমরা পড়ি ইত্যাদি।
সমধাতুজ কর্ম : বাক্যের ক্রিয়া ও কর্মপদ একই ধাতু থেকে গঠিত হলে ঐ কর্মপদকে সমধাতুজ কর্ম বলে । দয়াল, আমায় লয়ে কোন্ খেলা খেলছ? এমন সুখের মরণ কে মরতে পারে?
সমধাতুজ কর্ম পদ অকর্মক ক্রিয়াকে সকর্মক করে।
সকর্মক ক্রিয়া ও অকর্মক ক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য :
সকর্মক ক্রিয়া | অকর্মক ক্রিয়া |
---|---|
১। যে ক্রিয়ার কর্মপদ থাকে, তাকে সকর্মক ক্রিয়া বলে। | ১। যে ক্রিয়ার কর্মপদ থাকে না, তাকে অকর্মক ক্রিয়া বলে। |
২। ক্রিয়াকে কি’ বা ‘কাকে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে ক্রিয়ার কর্মপদ পাওয়া যায়। | ২। ক্রিয়াকে ‘কি’ বা ‘কাকে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে ক্রিয়ার কর্মপদ পাওয়া যায় না ৷ |
৩। সকর্মক ক্রিয়ার বাক্য সম্প্রসারিত হয়। | ৩। অকর্মক ক্রিয়ার বাক্য সংকুচিত হয়। |
৪। কর্মপদযুক্ত বাক্য অর্থের ব্যাপ্তি ঘটাতে সক্ষম। | ৪। কর্মপদহীন বাক্য অর্থের ব্যাপ্তি ঘটাতে অক্ষম। |
উদাহরণ: মা আমাকে একটি ঘড়ি কিনে দিয়েছেন। | উদাহরণ: রহিম যাচ্ছে। |