মাশরুম কী ?
মাশরুম হলো Agaricus গোত্রের অন্তর্গত বেসিডিওমাইসেটিস শ্রেণির এক প্রকার নিম্নশ্রেণির ছত্রাক জাতীয় পরজীবী উদ্ভিদ। পরিণত অবস্থায় এদের দেখতে ছাতার মতো হওয়ায় এদেরকে ব্যাঙের ছাতাও বলে । বর্তমানে একটি পুষ্টিকর সবজি হিসেবে ব্যবহার হয়।
মাশরুম এর বৈশিষ্ট্য :
- মাশরুম হলো একটি বহুকোষী ইউক্যারিওটিক ছত্রাক।
- এরা সাধারণত মৃতজীবী, তবে কিছু পরজীবী ও সহজীবী রূপেও দেখা যায়। অধিকাংশ স্থলজ।
- এদের কোষপ্রাচীর কাইটিন দিয়ে তৈরি এবং সঞ্চিত খাদ্য গ্লাইকোজেন।
- শোষণ পদ্ধতিতে খাদ্য গ্রহণ করে।
- দেহ সাধারণত শাখান্বিত, হাইফা দ্বারা গঠিত যা একত্রে মাইসেলিয়াম গঠন করে। ফিলামেন্ট সিনোসাইটিক ।
আরও পড়ুন : শৈবাল ও ছত্রাক: সংজ্ঞা,বৈশিষ্ট্য,পার্থক্য,উপকারিতা ও অপকারিতা
মাশরুম এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব :
মাশরুম এর মধ্যে বিভিন্ন ভিটামিন বিদ্যমান থাকায় বিশ্বের বহুদেশে জনপ্রিয় খাদ্য হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়। অনেকেই এটি চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে কারণ এর চাষ অনেক লাভজনক । মাশরুম এর মধ্যে আঁশ বেশি থাকায় এবং শর্করা ও চর্বি কম থাকায় একটি আদর্শ খাবার হিসেবে পরিগণিত ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য । এতে প্রোটিন, শর্করা, চর্বি, ভিটামিন, খনিজ লবণ এমন অনুপাতে রয়েছে যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা ইমিউন সিস্টেমকে উন্নত করে। ফলে কোন গর্ভবতী মা ও শিশুরা যদি এটা নিয়মিত খায় তাহলে তাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
এটি অনেক দামি একটি খাবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে । ব্যাপকভাবে মাশরুম চাষ ও রপ্তানির মাধ্যমে অনেকেই বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারছে। তবে কিছু কিছু প্রজাতির মাশরুম খুব বিষাক্ত, যা খেলে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে। এছাড়া মাশরুম যেখানে জন্মায়, সেখানে জৈববস্তুর অভাব দেখা দেয় । সুতরাং বলা যায় যে, বর্তমান যুগে জনপ্রিয় খাদ্য ও পুষ্টি উপাদান হিসেবে মানবজীবনে মাশরুমের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম।
খাদ্য হিসেবে মাশরুম কেমন?
য মাশরুম হলো Agaricus গোত্রের অন্তর্গত বেসিডিওমাইসেটিস শ্রেণির এক প্রকার নিম্নশ্রেণির ছত্রাক জাতীয় পরজীবী উদ্ভিদ। পরিণত অবস্থায় এদের দেখতে ছাতার মতো হওয়ায় এদেরকে ব্যাঙের ছাতাও বলে। বর্তমানে একটি পুষ্টিকর সবজি হিসেবে ব্যবহার হয়। পুষ্টিগত দিক থেকে এটি অত্যন্ত উঁচুমানের সুস্বাদু এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ হওয়ায় Agaricus এর বিভিন্ন প্রজাতি দেশে বিদেশে মানুষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। নিয়মিত মাশরুম খেলে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
বিষাক্ত মাশরুম চেনার উপায়:
- অত্যন্ত উজ্জ্বল বর্ণের প্রজাতিগুলো বিষাক্ত।
- ঝাঁঝালো ও অম্লগন্ধযুক্ত প্রজাতিগুলো বিষাক্ত।
- বিষাক্ত মাশরুম কখনো প্রখররোদে জন্মায় না।
- কাঠের উপর জন্মায় এমন প্রজাতিগুলো বিষাক্ত।
আপনার আগ্রহের আরো পোস্ট
এগারিকাস কি? এর বৈশিষ্ট্য, গুরুত্ব, উপকারিতা ও অপকারিতা