একবীজপত্রী উদ্ভিদের মূলের অন্তর্গঠনগত বৈশিষ্ট্য :
- মূলত্বকে কিউটিকল অনুপস্থিত, এতে এককোষী রোম আছে ।
- অধঃত্বক নেই ।
- পরিচক্র একসারি কোষ দিয়ে গঠিত ।
- ভাস্কুলার বান্ডল অরীয় এবং একান্তর ভাবে সজ্জিত ।
- জাইলেম বা ফ্লোয়েম গুচ্ছের সংখ্যা ৬এর অধিক ।
- মজ্জা সর্বদাই উপস্থিত ও বড় ।
- গৌণ ভাজক কলা সৃষ্টি এবং গৌণ বৃদ্ধি ঘটেনা ।
আরও : একবীজপত্রী ও দ্বিবীজপত্রী:সংজ্ঞা, উদাহরণ, বৈশিষ্ট্য,পার্থক্য
একবীজপত্রী উদ্ভিদের কান্ডের সনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য:
- ত্বকের বাইরে কিউটিকল বিদ্যমান ।
- অধঃত্বক সাধারণত স্ক্লেরেনকাইমা দ্বারা গঠিত। কখনও প্যারেনকাইমা টিশা দিয়েও গঠিত ।
- ভাস্কুলার বান্ডল গ্রাউন্ড টিস্যুতে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়ানো ।
- মেটাজাইলেম, পরিধির দিকে এবং প্রোটোজাইলেম কাণ্ডের দিকে যায় ।
- জাইলেম Y বা V আকৃতি বিশিষ্ট।
- ভাস্কুলার বান্ডল সংযুক্ত কিন্তু বদ্ধ (জাইলেম ও ফ্লোয়েমের মধ্যে ক্যাম্বিয়াম নেই)
- বহিঃত্বকে সাধারণত রোম থাকে না ।
- কর্টেক্সকে বহিঃস্টিলীয় ও অন্তঃস্টিলীয় অঞ্চলে ভাগ করা যায় না ।
- অধঃত্বকের নিচ হতে কেন্দ্র পর্যন্ত কর্টেক্স বিদ্যমান। একে সাধারণত কর্টেক্স ও অন্তঃত্বকে ভাগ করা যায় না ।
- ভাস্কুলার বান্ডল অসংখ্য এবং বিক্ষিপ্তভাবে ভিত্তি টিস্যুতে বিদ্যমান ।
দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের মূলের বৈশিষ্ট্য :
- কর্টেক্স বা বর্হিমজ্জা বিভিন্ন স্তরে বিভক্ত নয়।
- অধঃত্বক থাকে না।
- মেটাজাইলেমের ট্রাকিড গহ্বর সরু ।
- মজ্জা ছোট এবং অনেক সময় অনুপস্থিত ।
- পেরিসাইকল হতে গৌণ ভাজক কলা তথা ক্যাম্বিয়ামের উৎপত্তি হয় এবং গৌণ বৃদ্ধি হয় ।
- অন্তঃত্বকের বাহির ও ভিতরের প্রাচীর সাধারণত কম পুরু থাকে ।
- জাইলেম বা ফ্লোয়েম গুচ্ছ সাধারণত সংখ্যায় ২-৪টি হয়ে থাকে ।
আরও : নগ্নবীজী উদ্ভিদের সংজ্ঞা,বৈশিষ্ট্য,উদাহরণ,আবৃত ও নগ্নবীজী পার্থক্য
একবীজপত্রী উদ্ভিদের মূল ও কান্ডের মধ্যে পার্থক্য :
একবীজপত্রী উদ্ভিদের মূল | একবীজপত্রী উদ্ভিদের কাণ্ড |
---|---|
এর ত্বকে কিউটিকল অনুপস্থিত, এতে এককোষী রোম আছে। | এর বহিঃত্বকে কিউটিকল উপস্থিত, সাধারণত কান্ডরোম অনুপস্থিত। |
অধঃত্বক নেই। | অধঃত্বক আছে এবং সাধারণত স্ক্লেরেনকাইমা টিস্যু দিয়ে গঠিত। |
অধঃত্বক আছে এবং সাধারণত স্ক্লেরেনকাইমা টিস্যু দিয়ে গঠিত। | ভাস্কুলার বান্ডলগুলো সংযুক্ত সমপার্শ্বীয় ও বদ্ধ এবং গ্রাউন্ড টিস্যুতে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়ানো থাকে। |
মেটাজাইলেম কেন্দ্রের দিকে এবং প্রোটোজাইলেম পরিধির দিকে অবস্থিত। | মেটাজাইলেম পরিধির দিকে এবং প্রোটোজাইলেম কেন্দ্রের দিকে অবস্থিত। |
জাইলেম বা ফ্লোয়েম গুচ্ছের সংখ্যা ছয় এর অধিক। | জাইলেম বা ফ্লোয়েম গুচ্ছের সংখ্যা ৩-৪টি। |
একবীজপত্রী ও দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের কাণ্ডের অন্তর্গঠনগত পার্থক্য :
একবীজপত্রী কাও | দ্বিবীজপত্রী কাও |
---|---|
১. বহিঃত্বকে বহুকোষী রোম থাকে না । | ১. বহিঃত্বকে বহুকোষী রোম বিদ্যমান । |
২. অধঃত্বক, সাধারণত ফ্লোরেনকাইমা টিস্যু দিয়ে গঠিত । | ২. অধঃত্বক, সাধারণত কোলেনকাইমা টিস্যু দিয়ে গঠিত । |
৩. কটেক্সকে বহিঃস্টিলীয় অঞ্চলে অন্তঃস্টিলীয়া অঞ্চলে ভাগ করা যায় না । | ৩. কর্টেক্সকে বহিঃস্টিলীয় অঞ্চলে ও অন্তঃস্টিলীয় অঞ্চলে ভাগ করা চলে । |
৪. অধত্বকের নিচ হতে কেন্দ্র পর্যন্ত কর্টেক্স বিদ্যমান। একে সাধারণত কর্টেক্স ও অন্তঃত্বকে ভাগ করা যায় না । | ৪. বহিঃস্টিলীয় কর্টেক্সকে আবার অধঃত্বক, সাধারণত কর্টেক্স অন্তঃত্বকে ভাগ করা যায় । |
৫. ভাস্কুলার বান্ডল গ্রাউন্ড টিস্যুতে বিক্ষিপ্ত ভাবে ছড়ানো । | ৫. ভাস্কুলার বান্ডল চক্রাকারে বিদ্যমান ও নির্দিষ্ট সংখ্যাক । |
৬. পেরিসাইকেল নাই । | ৬. ভাস্কুলার বান্ডলের বাইরে পেরিসাইকেল অবস্থিত । |
৭. ভাস্কুলার বান্ডল সংযুক্ত সমপার্শ্বীয় এবং বন্ধ। | ৭. ভাস্কুলার বান্ডল সংযুক্ত সমপার্শ্বীয় অথবা সমদ্বিপার্শ্বীয় এবং মুক্ত। |
৮. জাইলেম Y বা V আকৃতির এবং ফ্লোয়েম প্যারেনকাইমা কোষ থাকে না । | ৮. জাইলেম মোটামুটি লম্বভাবে থাকে এবং ফ্লোয়েমে প্যারেনকাইমা কোষ থাকে। |
৯. গ্রাউন্ড টিস্যু হতে মজ্জা রশ্মি পৃথক করা যায় না । | ৯. মজ্জারশ্মি ও মজ্জা থাকে । |
আরও : পুষ্প সংকেত কি? জবা ফুলের ও ধানের পুষ্প সংকেত। লেখার নিয়ম
দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের মূল ও একবীজপত্রী মূলের অন্তর্গঠনগত পার্থক্য :
একবীজপত্রী উদ্ভিদের মূল | দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের মূল |
---|---|
১. ভাস্কুলার বান্ডল এর সংখ্যা ছয় এর বেশি। | ১. ভাস্কুলার বান্ডল এর সংখ্যা দুই থেকে ছয় । |
২. মজ্জা বড় ও সুস্পষ্ট । | ২. মজ্জা ছোট ও অস্পষ্ট । |
৩. জাইলেম গহ্বর গোলাকার । | ৩. জাইলেম গহ্বর বহুকোণ বিশিষ্ট । |
৪. বাস্টতন্ত্র অনুপস্থিত । | ৪. ফ্লোয়েম টিস্যুতে বাস্টতন্তু থাকে । |
৫. পরিচক্র থেকে কখনও ভাজক টিস্যুর জন্ম হয় না । | ৫. পরিচক্র থেকে ক্যাম্বিয়াম ও কর্ক- ক্যাম্বিয়াম এর জন্ম হয় । |
৬. সেকেন্ডারী বৃদ্ধি ঘটে না । | ৬. সেকেন্ডারী বৃদ্ধি ঘটে । |