ٱلصَّلَاةُ / فَضِيلَةُ ٱلصَّلَاةِ – ٱلصَّلَاةُ مِعْرَاجُ ٱلْمُؤْمِنِينَ সালাত/সালাতের ফজিলত/সালাত মুমিনের মিরাজ
المُقَدَّمَةُ :
ٱلْعِبَادَاتُ ٱلَّتِي أَوْجَبَهَا ٱللّٰهُ تَعَالَى عَلَى ٱلْمُسْلِمِينَ ٱلصَّلَاةُ وَأَهَمُّهَا- وَهِيَ فَرِيضَةٌ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ بَالِغٍ عَاقِلٍ. وَهِيَ ٱلْفَارِقُ بَيْنَ ٱلْمُسْلِمِ وَٱلْكَافِرِ.
تَعْرِيفُ ٱلصَّلَاةِ:
ٱلصَّلَاةُ فِي ٱللُّغَةِ: ٱلدُّعَاءُ وَٱلِٱسْتِغْفَارُ وَٱلرَّحْمَةُ وَٱلتَّسْبِيحُ- وَفِي ٱلِٱصْطِلَاحِ: هِيَ عِبَادَةٌ بِأَرْكَانٍ مَخْصُوصَةٍ، وَشُرُوطٍ مَعْهُودَةٍ عَلَى هَيْئَةٍ مُّعَيَّنَةٍ وَوَقْتٍ مَّعْلُومٍ.
আরো পড়ুন : আরবি রচনা : কুরআনুল কারীম – অনুবাদ সহ
حُكْمُ ٱلصَّلَاةِ:
ٱلصَّلَاةُ فَرْضٌ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ عَاقِلٍ بَالِغٍ- مَنْ تَرَكَهَا كَسْلَانُ فَهُوَ عَاصٍ وَمَنْ تَرَكَهَا مُتَعَمِّدًا فَقَدْ كَفَ
أَهَمِّيَّتُهَا:
لِلصَّلَاةِ أَهَمِّيَّةٌ كَبِيرَةٌ، فَقَدِ ٱهْتَمَّ بِهَا ٱلْإِسْلَامُ وَجَعَلَهَا أَعْظَمَ أَرْكَانِ ٱلدِّينِ وَعِمَادَهُ- لِذَا أَمَرَ ٱللّٰهُ تَعَالَى الْمُسْلِمِينَ ثَلَاثًا وَثَمَانِينَ مَرَّةًبِإِقَامَةِ الصَّلَاةِ فَقَالَ تَعَالَى: (أَقِيمُوا ٱلصَّلَاةَ وَآتُوا ٱلزَّكَاةَ)- وَجَعَلَ ٱلصَّلَاةَ فَارِقَةً بَيْنَ ٱلْمُسْلِمِ وَٱلْكَافِرِ، كَمَا قَالَ ٱلنَّبِيُّ ﷺ: الفَارِقُ بَيْنَ المُسْلِمِ وَالكافِرِ الصَّلَاةُ
فَضِيلَةُ ٱلصَّلَاةِ:
ٱلصَّلَاةُ أَفْضَلُ ٱلْعِبَادَاتِ وَٱلطَّاعَاتِ وَأَعْظَمُ ٱلْوَسَائِلِ لِلْقُرْبَاتِ، وَهِيَ أَسَاسُ ٱلْفَوْزِ فِي ٱلدُّنْيَا وَٱلْآخِرَةِ. قَالَ تَعَالَى: (قَدْ أَفْلَحَ ٱلْمُؤْمِنُونَ، ٱلَّذِينَ هُمْ فِي صَلَاتِهِمْ خَاشِعُونَ). وَقَدْ قَالَ ٱلنَّبِيُّ ﷺ: «ٱلصَّلَاةُ مِعْرَاجُ ٱلْمُؤْمِنِينَ».
আরো পড়ুন : আরবি রচনা : সময়ের মূল্য। অর্থ সহ
فَوَائِدُ ٱلصَّلَاةِ:
لِلصَّلَاةِ فَوَائِدُ عَظِيمَةٌ؛ مِنْ أَهَمُّهَا أَنَّهَا تَنْهَى عَنِ ٱلْفَحْشَاءِ وَٱلْمُنْكَرِ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: (إِنَّ ٱلصَّلَاةَ تَنْهَى عَنِ ٱلْفَحْشَاءِ وَٱلْمُنْكَرِ). وَأَدَاؤُهَا فِي ٱلْجَمَاعَةِ يُقَوِّي ٱلْأُخُوَّةَ بَيْنَ ٱلْمُسْلِمِينَ، وَيُزِيلُ عَنْهُمُ ٱلْحِقْدَ وَٱلْحَسَدَ وَٱلْمُنَازَعَةَ، حَتَّى يُصْبِحَ ٱلْمُجْتَمَعُ مَلِيئًا بِٱلْمَحَبَّةِ وَٱلْمَوَدَّةِ.
ٱلْخَاتِمَةُ:
فَعَلَيْنَا أَنْ نُقِيمَ ٱلصَّلَاةَ، وَنُقِيمَ دُرُوسَهَا فِي ٱلْمُجْتَمَعِ وَنَأْمُرَ أَوْلَادَنَا وَإِخْوَانَنَا بِهَا وَهُمْ فِي سَبْعِ سِنِينَ
ভূমিকা :
আল্লাহ তা’আলা মুসলমানদের উপর যে সকল ‘ইবাদাত ফরজ করেছেন সালাত বা নামায তন্মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ । উহা প্রত্যেক বয়ঃপ্রাপ্ত ও জ্ঞানী মুসলমানের উপর ফরয। উহা মুসলিম ও কাফিরের মাঝে পার্থক্যকারী।
আরো পড়ুন : আরবি রচনা : মাদ্রাসা (বাংলা অনুবাদ সহ)
সালাতের পরিচয় :
শব্দের আভিধানিক অর্থ দোয়া, ক্ষমা প্রার্থনা, রহমত, প্রশংসা বর্ণনা করা। আর পরিভাষায়, নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে কতগুলো বিশেষ শর্ত ও বৈশিষ্ট্য সহকারে ইবাদাত করা।
সালাতের বিধান :
প্রত্যেক জ্ঞানী, বয়ঃপ্রাপ্ত মুসলিমের উপর সালাত আদায় করা ফরয। যে ব্যক্তি অলসতা বশতঃ উহা ছেড়ে দেয় সে গুনাগার, আর যে ব্যক্তি ইচ্ছে করে উহা পরিত্যাগ করে সে কুফুরী করল ।
উহার গুরুত্ব :
সালাতের বিরাট গুরুত্ব রয়েছে। ইসলাম উহার বেশ গুরুত্ব দিয়েছে এবং উহাকে দ্বীনের সবচেয়ে বড় স্তম্ভ করেছে। এ কারণে আল্লাহ তা’আলা মুসলমানদেরকে ৮৩ বার সালাত আদায়ের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন- “তোমরা সালাত কায়েম কর, আর যাকাত আদায় কর।” আর সালাতকে মুসলিম ও কাফিরের মাঝে পার্থক্যের নিদর্শন বানিয়েছেন। রাসূল (স) বলেছেন- “সালাত হচ্ছে মুসলিম ও কাফিরের মাঝে পার্থক্য সৃষ্টিকারী।”
সালাতের মর্যাদা :
সালাত হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ ‘ইবাদাত ও আনুগত্য এবং নৈকট্য লাভের সবচেয়ে বড় মাধ্যম । উহা দুনিয়া ও আখিরাতের সাফল্যের মূল ভিত্তি। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন- “মুমিনগণ সফল হলো, যারা তাদের সালাতে ভীত ও সন্ত্রস্ত।” উহা মু’মিনের জন্য মিরাজ স্বরূপ। রাসূল (স) বলেছেন- “সালাত মু’মিনদের মিরাজ স্বরূপ।”
সালাতের উপকারীতা :
সালাতের অনেক উপকারীতা রয়েছে । উহার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, উহা মানুষকে পাপ ও গর্হিত কাজ থেকে বিরত রাখে। এ ব্যাপারে কুরআনুল কারীমে আল্লাহ বলেন- “নিশ্চয়ই সালাত পাপ ও গর্হিত কাজ থেকে বিরত রাখে।” উহা জামাতের সাথে আদায় করার ফলে মুসলমানদের মাঝে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক বৃদ্ধি করে। আর তাদের থেকে হিংসা-বিদ্বেষ, ঝগড়া-বিবাদ দূর করে, ফলে সমাজটি ভালবাসা ও মমতার সমাজে পরিণত হয় ।
উপসংহার :
আমাদের সালাত কায়েম করা এবং উহার শিক্ষা সমাজে বাস্তবায়ন করা উচিৎ। আর সাত বছর বয়সেই আমাদের ছেলে-মেয়ে ও ভাই-বোনদের নামাযের আদেশ দেয়া কর্তব্য।