সময়ানুবর্তিতা / সময়ের মূল্য - রচনা (২০ পয়েন্ট )। PDF

(toc) Table Of Contens

ভূমিকা : 

এ মহাবিশ্বের যেমন কোনো আদি-অন্ত নেই, তেমনি মহাকালেরও কোনো শুরু বা শেষ নেই। অনাদি অনন্ত মহাকালের বুকে আমরা অবস্থান করছি। সময় অনন্ত হলেও আমাদের জীবনের পরিধি কিন্তু একেবারেই সীমিত। তাই বলা হয়- Time and tide wait for none. অর্থাৎ 'সময় এবং নদীর স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না'।

মানব জীবন ও সময় : 

জীবনে দায়িত্ব কর্তব্য অনেক, কিন্তু সে তুলনায় ৬০/৭০ বছরের জীবন পরিধি নিতান্তই সামান্য। তাই এ সামান্য সময় যেন অবহেলায় অকাজে নষ্ট না হয়, সেদিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হবে। কেননা এমনিতেই যেখানে তীব্র অভাব রয়েছে, সেখানে যদি অপচয় করা হয় তবে জীবন ব্যর্থ হতে বাধ্য। সে জন্য সময় নষ্ট না করে প্রতিটি মুহূর্তই কাজে লাগানো উচিত ।

সময়ের মূল্য :

সময় গতিশীল। এগিয়ে যাওয়াই তার ধর্ম। ঘড়ির কাঁটা কারো জন্যে অপেক্ষা করে না। টাকা-পয়সা, ধন- দৌলত নষ্ট হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে একে আবার অর্জন করা যায় । কিন্তু সময় একবার চলে গেলে শত চেষ্টা করলেও একে আর ফিরে পাওয়া যায় না। টাকা-পয়সার চেয়ে সময় বেশি মূল্যবান। এর মূল্য কোনো জিনিস দিয়ে পরিমাপ করা যায় না ।

সময়ের সদ্ব্যবহার :

সময় অনন্ত, আয়ুষ্কাল সীমাবদ্ধ । কাজেই প্রতিটি মুহূর্তকে যথাযথ কাজে লাগিয়ে ছোট্ট জীবনকে সুন্দর করে তোলা সচেতন মানুষের কাজ । জীবনে উন্নতি সাধনের জন্যে প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগানো অপরিহার্য। সময়ের সদ্ব্যবহার বলতে সর্বক্ষণ কেবল কাজে নিমগ্ন থাকাই বুঝায় না। কাজের সময় কাজ, বিশ্রামের সময়ে বিশ্রাম। ‘সময়ের এক ফোঁড়, অসময়ের দশ ফোঁড়।' পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর সমৃদ্ধির মূলে রয়েছে সময়ের প্রতি তাঁদের সচেতনতা ও সময়ের সদ্ব্যবহার করার প্রবল আগ্রহ।

আরও পড়ুন :- সময়ের মূল্য - বাংলা রচনা [ Class - 6, 7, 8 ,9 ,10] এবং HSC 

সময়ের গুরুত্ব :

প্রতিটি মানুষের জীবনে সময় অতি মূল্যবান রত্ন । সময় একবার চলে গেলে জীবনের বিনিময়ে হলেও তাকে আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয় । সময়ের সদ্ব্যবহার করলে সফলতা হাতের মুঠোয় এসে ধরা দেয়। মানুষের জীবন ক্ষণস্থায়ী, এই ক্ষণস্থায়ী জীবনকে স্মরণীয় করে রাখে কর্মের মহিমা। তাই সময়কে কাজে লাগিয়ে কর্মের মহিমা সৃষ্টি করা প্রত্যেকের কর্তব্য। সময়ের গুরুত্ব সম্পর্কে কবি বলেন :

“খেলায় মজিয়া শিশু কাটাইওনা বেলা
সময়ের প্রতি কভু করিওনা হেলা”

ছাত্রজীবনে সময়ের মূল্য : 

ছাত্রজীবনে সময়ানুবর্তিতার মূল্য সর্বাধিক। কর্ম জীবনের সাফল্য নির্ভর করে ছাত্রজীবনের সময়ের সঠিক মূল্যায়নের ওপর। নিয়মিত পাঠ্যাভাস ও শরীরচর্চার মাধ্যমে শৃংখলা আর সংযম গড়ে ওঠে । ছাত্রজীবনের দৈনন্দিন কর্মসূচিকে যারা অবহেলা করে তারাই জীবনে সাফল্যের সোনার কাঠির পরশ থেকে বঞ্চিত হয়। এ প্রসঙ্গে উইলিয়াম শেক্সপিয়ার বলেছেন, “সময়ের প্রতি যাদের শ্রদ্ধা নেই, তারাই পৃথিবীতে নিঃস্ব, বঞ্চিত ও পরমুখাপেক্ষী।"

সময় অপচয়ের কুফল :

সময়ের অপচয় করলে সমস্ত জীবনই মূল্যহীন হয়ে পড়বে। যে সময় অপচয় করে তার উন্নতি কিছুতেই আশা করা যায় না । উন্নতি তো দূরের কথা মানুষ হিসেবে বাঁচাই দায় হবে।

সময় শ্রেষ্ঠ সম্পদ : 

পৃথিবীর মধ্যে যতো ধন-সম্পদ আছে তার মধ্যে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ সময়। পৃথিবীর মধ্যে অনেক দুর্লভ বস্তুই টাকা দিয়ে কোন যায়, কিন্তু যে সময় একবার চলে যায় তা পৃথিবীর বিনিময়ে হলেও ফিরে পাওয়া যায় না। তাই সময় সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ।

সময় এবং অলসতা : 

অনেক সময় আমরা ভাবি, হাতে তো সময় আছে, পরে কাজটি করে নেব। অথবা বলি, আগামী কাল করব। এ কথার চেয়ে ভুল আর কিছু হতে পারে না। কারণ আজকের কাজ কখনো কালকের জন্য ফেলে রাখা উচিত নয়। আগামীকালের জন্য তো কালকে অনেক কাজ রয়েছে। তাই বিভিন্ন অজুহাতে এবং আলস্য ভরে আমরা সাথে সাথে সম্পাদন না করে যে কাজ স্থগিত রাখি, তা চিরদিনের জন্যই পেছনে পড়ে যায়। কোনোদিন আর তা যথার্থ সময়ে করার সুযোগ আসে না। 

এভাবে জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাকি থেকে যায়। তাই আমাদের উচিত যখন যা করা দরকার তা ঠিক সময়েই করে নেয়া। পরে করব—এ ভ্রান্তিতে যেন আমরা নিজেকে না হারাই। আমরা যদি কোনো দ্রব্য হারাই, তবে তা পুনরায় অর্জন করতে পারি, ফিরে পেতে পারি, কিন্তু সময় যদি একবার চলে যায় তবে তা আর ফিরে পাওয়া যায় না। তাই বলা হয়, সময় ও স্রোত শুধু চলেই যায়। কখনো ফিরে আসে না। বিগত সময় ফিরে পাবার কোনো উপায় নেই।

মনীষীদের সময় জ্ঞান : 

আমরা মহাজ্ঞানী, মহাজন তথা স্মরণীয় পুরুষদের জীবনে দেখতে পাই, তারা জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগিয়েছেন। আবহেলায় কোনো সময় বৃথা নষ্ট করেননি। সময়কে যথাযথভাবে কাজে লাগানোর ফলেই তাঁরা জীবনে সফল হতে পেরেছেন। মরেও অমরতা লাভ করেছেন। নিউটন, আইনস্টাইন, এডিসন, নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, সক্রেটিস, প্লেটো, শেক্সপিয়র প্রমুখ সময়ের মূল্য দিয়েছেন, তাই তাঁরা আজও স্মরণীয় হয়ে আছেন।

সময়ের সদ্ব্যবহারে মত ও পথের পার্থক্য : 

মূল্যবান এ সময়ের সদ্ব্যবহারের দৃষ্টিভঙ্গি পাত্রভেদে ভিন্ন ভিন্ন। এক একজন বিচক্ষণ ব্যক্তি এক একভাবে তা কাজে লাগিয়ে সুজন হয়েছেন। এ বিষয়ে যেমন ‘নানা মুনির নানা মত' তেমনি ‘যত মত তত পথ'। তাই আইনস্টাইনকে হয়ত সারাদিন গবেষণাগারেই কাটিয়ে দিতে হয়। একজন রবীন্দ্রনাথকে কল্পনার কথা রাত জেগে লিখতে হয়।

আরও পড়ুন :- শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড - বাংলা রচনা [ Class - 6, 7, 8 ,9 ,10]

একজন দার্শনিককে অসম্ভব পড়াশুনা করতে হয় এবং তার চিন্তাধারা লিপিবদ্ধ করতে হয়। একজন রাজনৈতিক নেতা তার চিন্তাধারাকে রূপায়িত করতে যেয়ে দেশের প্রত্যন্ত প্রান্তে ছুটে বেড়ান, জেল খাটেন, প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের হাতে নির্যাতিত হন এবং এভাবে দীর্ঘদিনের পরীক্ষায় জনগণের কাছে তিনি গ্রহণীয় হন। একজন শিল্পীকে কখনো কখনো পাথর কেটে শিল্পকর্ম করতে হয়। এভাবে এক একজন তাঁদের সময়কে এক একভাবে কাজে লাগিয়ে তাঁদের কৃতিত্বের মাধ্যমে হয়েছেন লব্ধপ্রতিষ্ঠা। 

আবার প্রতিভাধর সাধক-তপস্বীগণ পার্থিব তথা বৈষয়িক যশ-খ্যাতির তুলনায় পারমার্থিক তত্ত্ব ও তথ্যকে অধিকতর শ্রেয় জ্ঞান করেন। তাঁরাও তাঁদের তপস্যা আরাধনার ফল দিয়ে আধ্যাত্মিক ধনে ধনী করেছেন নিজেদের। সবক্ষেত্রেই দেখা যায়, সর্ব মনীষীই সময়কে সমধিক গুরুত্ব দিয়েছেন, কেবল সময়ের সদ্ব্যবহার বিধিতেই যা মতের ও পথের বিভিন্নতা।

ছাত্রজীবনে সময়ের সদ্ব্যবহারের গুরুত্ব : 

বাইবেলে ঘোষিত হয়েছে—‘এ পৃথিবীতে প্রত্যেক কাজের একটা উদ্দেশ্য, একটা কাল ও একটা সময় আছে। জন্মাবার একটা সময় আছে, মরবারও একটা সময় আছে। গাছ রোপণ করার একটা সময় আছে আর রোপিত গাছ উপড়ে ফেলারও একটা সময় আছে।' অনুরূপভাবে সময় সম্পর্কে সচেতন হওয়ার প্রকৃষ্ট সময় ছাত্রজীবন। ছাত্রজীবনে সময়ের মূল্য সম্পর্কে সচেতনতা, শুধু তাদের পঠন-পাঠনের ক্ষেত্রেই নয়; তাদের চরিত্র গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জনৈক বন্ধু মাইকলে মধুসূদনকে খেলার জন্য চিঠি লিখেছিলেন। উত্তরে মাইকেল বড় শক্ত কথা শুনিয়েছিলেন বন্ধুকে। তিনি লিখে পাঠালেন, I am not only a school boy, here is my routine....রুটিনে বন্ধুকে জানিয়েছিলেন নিত্যদিনের স্কুল পাঠের পাশাপাশি তাঁর হিন্দী, উর্দু, ইংরেজি, সংস্কৃত, তামিল, তেলেগু, হিব্রু, লেটিন প্রভৃতি মোট বারোটি ভাষা শিক্ষার সময় ও পাঠ্যসূচি।

সময় এবং বিশ্রাম : 

সময়কে তুচ্ছ মনে করে কেউ কোনোদিন বড় হতে পারে না। এ প্রসঙ্গে অবসরের কথাও উল্লেখ করতে হয়। কাজের ফাঁকে অবসর নেয়া কাজেরই একটা অংশ। কারণ মানুষ কোনো যন্ত্র নয়। তার আছে ক্লন্তি অবসাদ। একনাগাড়ে কোনো মানুষের পক্ষেই কাজ করে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই কাজের শেষে বিশ্রাম নিতে হয়। এ বিশ্রাম মানুষকে পরবর্তী কাজের জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করে। তাই কাজের ফাঁকে বিশ্রাম নেয়া সময়ের অপব্যবহার নয়; বরং বিশ্রামও একটা কাজ, তবে বিশ্রাম যেন মাত্রা অতিক্রম না করে। নির্দিষ্ট সময় বিশ্রামের পরেই পরিকল্পনা মাফিক কাজে লেগে যাওয়া উচিত।

আরও পড়ুন :- ছাত্র জীবন - বাংলা রচনা [ Class - 6, 7, 8 ,9 ,10] 

সময় এবং কর্মচেতনা :

সময়ের সদ্ব্যবহারের জন্য সঠিক সময়ে সঠিক কর্ম বেছে নিতে হবে। স্থান, কাল, পাত্র, বয়স, সুযোগ ইত্যাদি বিষয়গুলোকে সময়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তার সমাধান করতে হয়। তাহলে জীবন চেতনা এবং তাঁর বাস্তবায়ন সঠিকভাবে রূপায়িত হবে।

সময়ের অবহেলার পরিণাম : 

জীবনের এই সীমাবদ্ধ অবসরে দুর্লভ সময়ের যে ভগ্নাংশটুকু পাওয়া যায়, তার সদ্ব্যবহারের মাধ্যমেই জীবন সার্থক এবং সুখময় হয়ে ওঠে। কাজেই জীবনের সংক্ষিপ্ত সীমায়তনের মধ্যে যে পরম মূল্যবান সময় আমরা হাতে পাই, সেই দুর্লভ সময় যদি অবহেলা করে, আলস্যভরে কাটিয়ে দেই, তাহলে তা হবে সময়ের নির্বোধ অপচয় মাত্র। 

সেই অপচয়ের পরিণাম আমাদের জীবনে একদিন মর্মান্তিক দুঃখ আর অনুশোচনা নিয়ে আসবে। তখন বুকফাটা আর্তনাদ কিংবা এক সমুদ্র অশ্রুবর্ষণে কিংবা অনুতাপে দগ্ধ হলেও সেই আলস্যে অতিবাহিত সময় আর ফিরে পাওয়া যাবে না। প্রবাদে আছে— 

“সময় কারো হাতধরা নয়

সময় হয় জলের মতন।”

সময়ের মূল্যবোধের অর্থ : 

প্রকৃতপক্ষে, সময়ের যথার্থ মূল্যবোধই জীবনের সাফল্য অর্জনের সোপান। সময়ের মূল্যবোধ হলো, যে সময়ের যে কাজ, তা সেই সময়ে সম্পাদন করা। যে তা করে না, সে করে সময়ের অমর্যাদা এবং পরাজয়ই হয় তার জীবনের চরম পরিণতি। সময়ের এই অবহেলার জন্য ভবিষ্যতে তাকে অনুশোচনা করতে হবে। যে কৃষক ফসলের ঋতুতে ফসলের বীজ বপন না করে আলস্যে সময় অতিবাহিত করে, সে কীভাবে ফসল ওঠার সময় খামার পূর্ণ ফসল আশা করতে পারে? সময় চলে গেলে তখন আর কান্নাকাটি করেও লাভ হয় না। প্রবাদে আছে-
“সময়ে না দেয় চাষ 
তার দুঃখ বার মাস।”

মানবজীবনেও সেই একই কথা। জীবনে যখন শক্তি থাকে, সামর্থ্য থাকে, তখন আলস্যে অযথা কালহরণ করে জীবন কাটালে শেষ বয়ে অবশ্যই দুঃখ ভোগ করতে হয়। তাই সময়ের মূল্যবোধের গুরুত্ব অনেক।

সময়ের অপচয়ের অর্থ : 

সময়ের মূল্যবোধের অভাবের পিছনে আছে মানুষের নিরাসক্ত জীবনবোধ, আলস্য, উদাসীনতা এবং অদৃশ্য সময়ের নিঃশব্দ অনন্ত যাত্রা। সময়কে চোখে দেখা যায় না, তার অনন্ত যাত্রার ঘণ্টাধ্বনিও শোনা যায় না। মানুষ তাই মনে করে, সময়ও বুঝি তার আলস্যের অনায় পারের মতো স্থির হয়ে আছে। তাই সময় পৃথিবীর অলস, কর্মবিমুখ মানুষদের ফাঁকি দিয়ে তার অনাদি যাত্রাপথে প্রস্থান করে। কিন্তু সময় পৃথিবীর সেই অলস, কর্মবিমুখদের আলস্য এবং কর্মবিমুখতাকে ক্ষমা করে না। 

সে তাদের কপালে দুঃখময় ভবিষ্যতের অভিশাপ এঁকে দিয়ে প্রস্থান করে। কিন্তু জীবনের সঙ্গে বা সময়ের সঙ্গে যারা প্রবঞ্চনা করে না, সময়ও তাদের সঙ্গে প্রবঞ্চনা না করে তাদের জন্য আশীর্বাদ বর্ষণ করে যায়। প্রকৃত অর্থে বাঁচতে জানে তারাই । জীবন এবং সময় অমূল্য। সময়ের অপব্যবহারের অর্থ যেমন অপচয়, দুর্লভ মানবজন্মও তেমনি অপচয়ের জন্য নয় । 

আরও পড়ুন :- চরিত্র - বাংলা প্রবন্ধ রচনা ( ২০ পয়েন্ট )

বাঙালির সময় জ্ঞান :

পূর্বকালে কৃষকরা যখন ফসল ফলাতেন তখন অল্প সময়ের মধ্যে অনেক ফসল ফলে যেত। আর এই অল্প সময়ের মধ্যে ফসল ফলে যাওয়ার কারণে বাঙালি জাতি অনেক অবসর সময় পেতো। আর এই অবসর সময়টা তারা হেলায় খেলায় কাটাতো। কিন্তু বর্তমান যুগে সেই কৃষকরা সেই আগের মতই পড়ে আছে তারা আর পরিশ্রম করতে চায় না অল্প সময়ের মধ্যে অধিক ফসল ফলাতে চায়। 

কিন্তু পৃথিবী যে কতদূর পর্যন্ত এগিয়ে গেছে তার দিকে তাদের কোন খেয়াল নেই। এজন্য বাঙালি জাতি আজ সবকিছু দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে। আমরা অলস জীবন যাপন করতে অনেক বেশি পছন্দ করি। সময় কে আমরা কাজে লাগাতে পারি না. এই হলো আমাদের বাঙ্গালী জাতির অবস্থা। 

সবাইকে কাজে লাগানোর সুফল :

প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য সময়কে কখনো অপচয় করা উচিত নয়। সময়কে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। সে হোক ছাত্র, কিংবা ব্যবসায়ী অথবা কৃষক। সকলকেই সময়কে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। ছাত্র জীবনে যদি গুরুত্ব দেওয়া না হয় তাহলে ভবিষ্যতের জীবন খুবই অন্ধকার। 

যদি সময় মতো সময়ের সঠিক কাজ না করা না হয়, সেটা যে কোন কাজের ক্ষেত্রে হোক যদি সময়মতো সে কাজ না করা হয় তাহলে সেটা তার জন্য অকল্যাণকর বয়ে আনে। একজন কৃষক যদি সময় মতো ফসল না ফালায় তাহলে সে কখনো ফসলের আশা করতে পারে না। 

একজন ছাত্র যদি সময় মত সঠিক সময়ে পড়াশোনা না করে তাহলে সে কখনো ভালো ফলাফলের আশা করতে পারেনা। এজন্য প্রত্যেক মানুষের উচিত সময়কে গুরুত্ব দেওয়া। যে জাতি সময়কে যত বেশি গুরুত্ব দেয় এবং সময়ের সাথে সদ্ব ব্যবহার করে সে জাতি তত বেশি উন্নত। সে জাতির উন্নতি কেউ ঠেকাতে পারবেনা যদি সময়ের সঠিক ব্যবহার করা হয়। 

উপসংহার : 

আমরা বলব, জীবন মানেই কাজ। জীবনের প্রতিটা সময় মূল্যবান। এ সময় হেলায় নষ্ট না করে যথাযথভাবে কাজে লাগানো উচিত। কেননা কোনো মানুষ বৃহত্তর অর্থে কোনো জাতির একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তার সময়ের অপচয় গোটা জাতির জন্য ক্ষতিকর। তাই দেখা যায় পৃথিবীতে কোনো জাতি সময়ের সঠিক মূল্য না দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি।



Post a Comment

0 Comments