সূচনা :
বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ। মানবসভ্যতাকে প্রগতির এ পর্যায়ে নিয়ে আসায় বিজ্ঞানের অবদানই প্রধান। বিজ্ঞান আজ মানবজীবনের নিত্যসঙ্গী।
দিন বদলে বিজ্ঞানের ভূমিকা :
বিজ্ঞানের বদৌলতে আবিষ্কৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে মানুষের জীবনে উৎকর্ষ এসেছে। বৈদ্যুতিক বাতি, উড়োজাহাজ, রেলগাড়ি, মোটরগাড়ি, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, রেফ্রিজারেটর, টেলিফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেট প্রযুক্তি ও মোবাইল ফোন ইত্যাদি আবিষ্কার মানুষের জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে । জীবন হয়েছে সহজতর ও আরামদায়ক।
মানবকল্যাণে বিজ্ঞানের দান :
মানুষের জীবনকে সুখী ও সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদান সবচেয়ে বেশি। বিজ্ঞান মানুষের জন্য বয়ে এনেছে কল্যাণ। আদিম যুগের অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করলেই বোঝা যায়, বিজ্ঞান মানুষকে কতদূর এগিয়ে দিয়েছে। প্রকৃতির অনেক প্রতিকূলতাকে জয় করে মানুষ তার জীবনকে করেছে স্বাচ্ছন্দ্যময়।
আরও পড়ুন :- বিজ্ঞানের অবদান - রচনা : Class 3, 4, 5
মানুষ দূরত্বকে জয় করেছে। রেলগাড়ি, মোটরগাড়ি ও বিমানের পর তৈরি করেছে মহাকাশযান। বেতার, টেলিভিশন ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগব্যবস্থায় এসেছে বিপ্লব। আমরা এখন মুহূর্তের মধ্যে হাজার হাজার মাইল দূরের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারি।
বিজ্ঞানের কৃষিকাজকে উন্নত করে খাদ্য উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি করেছে। চিকিৎসাক্ষেত্রেও বিজ্ঞান বিপ্লব ঘটিয়েছে। বহু যন্ত্রপাতি আবিষ্কারের মাধ্যমে অনেক জটিল ও কঠিন রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হচ্ছে। তৈরি হয়েছে অনেক জীবনরক্ষাকারী ওষুধ।
বিজ্ঞানের নেতিবাচক দিক :
বিজ্ঞান যেমন আমাদের জীবনে আশীর্বাদ, তেমনই কিছু ক্ষেত্রে অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পারমাণবিক বোমা, f জীবাণু ও রাসায়নিক অস্ত্রসহ বিভিন্ন মারণাস্ত্র বিজ্ঞানেরই সৃষ্টি। এগুলো পৃথিবী ও মানুষের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।
উপসংহার :
আধুনিক সভ্যতা অনেকাংশেই বিজ্ঞানের দান। বিজ্ঞান ও ও প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার মানুষকে আরও অনেকদূর এগিয়ে নেবে বলে আশা করা যায়।
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরও পোস্টের তালিকা