আল্লাহ মহান
প্রিয় ফরহাদ,
নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল। আশা করি ভালো আছ। গত পয়লা বৈশাখের দিন আমি বড় ভাইয়ের সঙ্গে বৈশাখী মেলায় গিয়েছিলাম । মেলায় গিয়ে আমি অনেক আনন্দ করেছি। মেলায় নানা রকম জিনিসের পসরা বসেছিল। জিলাপি, খই, বাতাসা, মুড়ি-মুড়কি, মৃৎশিল্প, খেলনাসামগ্রীসহ নানা রকম জিনিসে ভরপুর ছিল মেলা প্রাঙ্গণ। প্রচুর মানুষ মেলায় জিনিস কিনতে এসেছিল। আমি মেলা থেকে একটা মাটির ঘোড়া, খই, বাতাসা ও জিলাপি কিনে বাসায় ফিরেছি । তুমি বৈশাখী মেলা কেমন দেখলে চিঠিতে জানিও ।
সময় পেলে আমাদের এখানে বেড়াতে এসো। আজ এখানেই শেষ করছি।
প্রেরক ফিরোজ বাগেরহাট খুলনা |
ডাকটিকেট প্রাপক ফরহাদ
পিরোজপুর বরিশাল |
আরও পড়ুন :- তোমার দেখা একটি বইমেলার বর্ণনা দিয়ে বন্ধুর নিকট - পত্র
এই পত্রের অন্য আরেকটি প্রতিলিপিন
আল্লাহ মহান
প্রিয় ফাহাদ,
শুভেচ্ছা নেবে। আশা করি ভালো আছ। আমিও ভালো আছি। গত চিঠিতে তুমি আমাদের গ্রামের বৈশাখি মেলা সম্পর্কে জানতে চেয়েছ। সে নিয়েই লিখছি।
আমাদের গ্রামের বৈশাখি মেলা ঐতিহ্যবাহী। প্রতিবছর বৈশাখের প্রথম তিন দিন এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এবারের মেলাও জমেছিল খুব। মেলায় অনেক রকমের মানুষের সমাগম ঘটে। মেলার সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো বাজিকরের খেলা। তারা দড়িখেলা, লাঠিখেলা, চরকিঘোরা ইত্যাদি দেখিয়ে সবাইকে মাতিয়ে রাখে। আরো থাকে নাগরদোলা, বায়স্কোপ ইত্যাদি। মেলায় বিভিন্ন দোকান বসে পসরা সাজিয়ে। মিষ্টি, মুড়ি-মুড়কি, বাতাসা, বৈশাখি ফল ইত্যাদির দোকানই থাকে বেশি। থাকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যেরও দোকান ।
সামনের বৈশাখি মেলায় তুমি আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসবে। সে নিমন্ত্রণ আগেই দিয়ে রাখলাম।
প্রেরক আসিফ মিঠাপুকুর রংপুর |
ডাকটিকেট প্রাপক ফাহাদ
ঈশ্বরদী পাবনা |