আবরণী কলা ও যোগ কলা এবং পেশীকলা ও স্নায়ুকলার মধ্যে পার্থক্য

আবরণী কলা ও যোগ কলার পার্থক্য :

আবরণী কলা যোজক কলা
১। যে সকল কলা দেহের ভিতর ও বাইরের অংশকে ঢেকে রাখে, তাদেরকে আবরণী কলা বা এপিথিলিয়েল টিস্যু বলে। ১। যে সকল কলা দেহের বিভিন্ন কলা ও অঙ্গসমূহের মধ্যে সংযোগ সাধন করে তাদেরকে যোজক কলা বা যোগ কলা বা কানেকটিভ টিস্যু বলে।
২। আবরণী কলায় কোষীয় আধিক্য পরিলক্ষিত হয়। ২। যোজক কলায় স্বল্পসংখ্যক কোষ বর্তমান ।
৩। কোষগুলো ঘন সন্নিবিষ্ট । ৩। কোষগুলো ধাত্র-মধ্যে ছড়ানো থাকে ।
৪। প্রধানত একজাতীয় কোষ হয়ে থাকে। ৪। বিভিন্ন প্রকারের কোষ হয়ে থাকে।
৫। ভ্রুণের এক্টোডার্ম বা এন্ডোডার্ম হতে উৎপন্ন হয়ে থাকে। ৫। ভ্রুণের মেসোডার্ম হতে উৎপন্ন হয়ে থাকে।
৬। কোষান্তর বস্তু ধাত্র বা ম্যাট্রিক্স অনুপস্থিত বা থাকে না বললেই চলে। ৬। ম্যাট্রিক্স বা ধাত্র নামক জেলীর মত তরল পদার্থের উপস্থিতিই যোজক কলার উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য।
৭। কোষগুলো নির্দিষ্ট ভিত্তি পর্দার সাথে যুক্ত থাকে। ৭। কোন ভিত্তি পর্দা থাকে না।
৮। অন্তঃকোষীয় পদার্থে কোন তন্তু থাকে না । ৮। অন্তঃকোষীয় পদার্থে বিভিন্ন প্রকারের তন্ত্র থাকে ।
৯। আবরণী কলায় কোন রক্ত বাহ থাকে না । ৯৷ যোজক কলায় রক্ত বাহের উপস্থিতি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ।
১০। আবরণী কলায় প্রতিটি কোষে গোলাকার কিংবা ডিম্বাকার একটি বড় নিউক্লিয়াস থাকে । ১০। যোজক কলায় নিউক্লিয়াস থাকতে পারে আবার নাও থাকতে পারে। তবে নিউক্লিয়াসের আকৃতি আবরণী কলা কোষের নিউক্লিয়াসের মত বৃহদাকার নহে ।

আরও পড়ুন : আবরণী ও যোজক কলা কাকে বলে? এদের প্রকারভেদ, বৈশিষ্ট ও কাজ

পেশীকলা ও স্নায়ুকলার মধ্যে পার্থক্য :

পেশী কলা স্নায়ু কলা
১। যে সকল কলা উত্তেজিত হলে সংকোচন ও প্রসারণের মাধ্যমে দেহের বিভিন্ন অঙ্গের সঞ্চালন ঘটায় তাকে পেশী কলা বলে । ১। যে সকল কলা কোন উদ্দীপনা গ্রহণ করে এর উপযুক্ত ‘সংকেত' সৃষ্টি করতে সক্ষম, তাকে স্নায়ু কলা বলে
২। এর কোষগুলো লম্বা সূতার ন্যায় বলে এদের পেশী তন্তুও বলা হয়ে থাকে। ২। এর প্রতিটি কোষকে নিউরন বলে।
৩। চর্ম ও চর্বির নিচের লাল রক্তের ন্যায় তন্তুময় অংশই পেশী কলা। ৩। মস্তিষ্কও কলার অন্তর্গত।
৪। এ কলা ঐচ্ছিক, অনৈচ্ছিক ও হৃদ এ তিন শ্রেণীতে বিভক্ত । ৪। এ কলা দেহকোষ, অ্যাক্সন ও ডেনড্রাইট - এ তিন ভাগে বিভক্ত ।

Post a Comment

0 Comments

Bottom Post Ad