হাদিসের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে একটি অনুচ্ছেদ
ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় রাসূল (স)-এর কথা, কাজ, মৌন সম্মতি ও তাঁর গুণাবলীসহ যে সকল বিষয় নিয়ে তিনি আগমন করেছেন তার সব কিছুকেই হাদীস বলে । ইহা ইসলামের দ্বিতীয় মৌলিক উৎস রাসূল (স) বলেছেন “আমি তোমাদের জন্য দুটি জনিস রেখে যাচ্ছি, যতক্ষণ তোমরা এদুটি জিনিস আঁকড়ে থাকবে ততক্ষণ তোমরা পথ ভ্রষ্ঠ হবে না। তার একটি হলো আল কুরআন আর অপরটি হলো হাদিস। ইসলামে হাদীসের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, উহা সংক্ষিপ্তভাবে অবতারিত কুরআনের আয়াতমালার বিস্তারিত বিশ্লেষক। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, আল্লাহ তা’আলা মু’মিনদের নামায ও যাকাত আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন এ আয়াতের মাধ্যমে যে- “তোমরা নামায প্রতিষ্ঠা কর, আর যাকাত দাও।” হজ্জের আদেশ দিয়েছেন এ কথা বলে যে, “তোমরা আল্লাহর জন্য হজ্জ এবং ওমরা পরিপূর্ণ কর।” আর রোযার আদেশ দিয়েছেন এ কথা বলে যে, “তোমাদের উপর রোযা ফরজ করা হয়েছে।” কিন্তু কুরআন এ বর্ণনা দেয়নি যে, কিভাবে নামায আদায় করা হবে? কত রাকাত পড়তে হবে? এমনিভাবে কিসে কিসে যাকাত ওয়াজিব হবে আর যাকাতের পরিমাপ কি? এমনিভাবে রোযা এবং হজ্জের বর্ণনাও দেয়নি । এ সকল ‘ইবাদাত ও লেনদেনের ব্যাখ্যা আমরা সুন্নাহর মাধ্যমেই জানতে পারি। হাদীস হচ্ছে- ইসলামের চারটি মূল উৎসের একটি । যদি হাদীস না হতো তবে আমরা সঠিকভাবে কুরআন বুঝতে সক্ষম হতাম না। এজন্য হাদিসের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।