আভিধানিক অর্থ : মুসতাসনা (مُسْتَثْنًى) শব্দটি বাবে اِسْتِفْعَالٌ এর মাসদার اِسْتِثْنَاءٌ হতে গঠিত اِسْمُ مَفْعُولٍ এর সিগাহ। আভিধানিক অর্থ হলো- বহিষ্কৃত, পৃথককৃত ইত্যাদি।
পারিভাষিক সংজ্ঞা : إِلَّا ও তার সমজাতীয় শব্দের পরে উল্লিখিত اسْمٌ কে তার পূর্বের হুকুম হতে বের করে দেয়াকে মুসতাসনা (مُسْتَثْنًى) বলা হয়।
মুসতাসনা (مُسْتَثْنًى) এর প্রকারভেদ :
মুসতাসনা প্রধানত ২ প্রকার। যথা –
১। المُسْتَثْنَى المُتَّصِلُ (সংযুক্ত মুসতাসনা )।
২। المُسْتَثْنَى المُنْقَطِعُ (বিচ্ছিন্ন মুসতাসনা )।
১। مُتَّصِلُ : المُسْتَثْنَى المُتَّصِلُ অর্থ – সংযুক্ত, মিলিত। পরিভাষায় যে ইসতিসনার মধ্যে مُسْتَثْنًى مِنْهُ ও مُسْتَثْنًى একই জাতীয় হয়, তাকে المُسْتَثْنَى المُتَّصِلُ বলে। যথা – جَاءَنِي القَوْمُ إِلَّا زَيْدًا এ বাক্যে القَوْمُ ও زَيْدً একই জাতীয় বিধায় উহা مُسْتَثْنًى مُتَّصِلُ .
আরও জানুন : মুবতাদা ও খবর : সংজ্ঞা, প্রকারভেদ ও উদাহরণ সহ বিস্তারিত
২। مُنْقَطِعُ : المُسْتَثْنَى المُنْقَطِعُ অর্থ – বিচ্ছিন্ন, অসংযুক্ত। পরিভাষায় যে ইসতিসনার মধ্যে مُسْتَثْنًى مِنْهُ ও مُسْتَثْنًى একই জাতীয় হয় না, তাকে المُسْتَثْنَى المُنْقَطِعُ বলে। যথা – جَاءَنِي القَوْمُ إِلَّا حِمَارًا এ বাক্যে القَوْمُ ও حِمَارًا একই জাতীয় নয় বিধায় উহা مُسْتَثْنًى مُنْقَطِعُ .
مُسْتَثْنًى مِنْهُ এর দিক দিয়ে مُسْتَثْنًى ২ প্রকার। যথা –
১। المُفَرَّغُ ( খালি, মুক্ত )।
২। غَيْرُ المُفَرَّغِ (খালিনয়, মুক্ত নয় )।
১। المُفَرَّغُ : যে مُسْتَثْنًى এর مُسْتَثْنًى مِنْهُ উল্লেখ থাকে না, তাকে مُفَرَّغُ مُسْتَثْنًى বলে। যথা – مَا جَاءَنِي إِلَّا زَيْدٌ এ বাক্যে مُسْتَثْنًى مِنْهُ উল্লেখ নেই বিধায় উহা مُفَرَّغُ .
২। غَيْرُ المُفَرَّغِ : যে مُسْتَثْنًى এর مُسْتَثْنًى مِنْهُ উল্লেখ থাকে, তাকে غَيْرُ المُفَرَّغِ বলে। যথা – جَاءَنِي القَوْمُ إِلَّا زَيْدًا এ বাক্যে مُسْتَثْنًى مِنْهُ অর্থাৎ القَوْمُ উল্লেখ রয়েছে বিধায় উহা মুসতাসনা غَيْرُ المُفَرَّغِ .
ইসতিসনা (اِسْتِثْنَاءُ)
সংজ্ঞা : اسْتِثْنَاءُ এর শব্দাবলি থেকে إِلَّا বা তার অনুরূপ শব্দের পরে অবস্থিত বস্তুকে তার পূর্ববর্তী হুকুম থেকে বের করার নামকে اسْتِثْنَاءُ বলা হয়। যেমন – حَضَرَ الطَّلَبَةُ إِلَّا طَالِبً ( একজন ব্যাতিত সকল ছাত্র উপস্থিত হলো )।
আরও জানুন : মারফুয়াত ও মানসুবাত কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি উদাহরণ সহ
ইসতিসনা (اِسْتِثْنَاءُ) এর প্রকারভেদ :
ইসতিসনা মূলত ২ প্রকার। যথা –
১। المُوجَبُ (গ্রহণকারী )।
২। غَيْرُ المُوجَبُ (গ্রহণকারী নয়) ।
১। المُوجَبُ : যে বাক্যে نَفِي (নাবোধক) نِهِي (নিষেদসূচক) اِسْتِفْهَامٌ (প্রশ্নোধক) অব্যয় থাকে না, তাকে পরিভাষায় مُوجَبُ বলে। যথা – جَاءَنِي القَوْمُ إِلَّا زَيْدًا এ বাক্যে نِهِي – نَفِي ও اِسْتِفْهَامٌ নেই বলে ইহা مُوجَبُ .
২। غَيْرُ المُوجَبُ : যে বাক্যে نِهِي – نَفِي ও اِسْتِفْهَامٌ থাকে তাকে পরিভাষায় غَيْرُ المُوجَبُ বলে। যথা –
ক। نَفِي এর উদাহরণ – مَا جَانِي إِلَّا زَيْدٌ (যায়েদ ছাড়া আমার নিকট কেহ আসেনি)
খ। نِهِي এর উদাহরণ- لاَ تَقُلْ إِلَّا الحَقَّ (সত্য ব্যাতিত কথা বলিও না )
গ। اِسْتِفْهَامٌ এর উদাহরণ – هَلْ جَاءَ المَدْعُونَةُ إِلَّا وَاحِدَةٌ (দাওয়াত কৃতদের একজন ব্যাতিত সব কি এসেছে?)
ইসতিসনা (اِسْتِثْنَاءُ) এর হরফসমূহ :
اِسْتِثْنَاءُ এর হরফ মোট ১১টি। যথা –
لاَ يَكُونُ – خَلَا – مَا عَدَا – عَدَا – لَيْسَ – حَاشَا – مَا خَلَا – سِوَى – سَوَاء – غَيْرُهُ – إِلَّا
আরও জানুন : হাল (الحَالُ): সংজ্ঞা, প্রকারভেদ ও ব্যবহারবিধি