হোম পদার্থ রসায়ন জীব ইসলামিক

কোমল পানীয় পানের সুবিধা ও অসুবিধা

গবেষণার ফলাফল : কোমল পানীয় হলো পানিতে CO2 এর দ্রবণ। এতে অতিরিক্ত পরিমাণ চিনি দ্রবীভূত থাকে। অন্যান্য উপকরণ মিশিয়ে কোমল পানীয়ের বর্ণ ও স্বাদের পরিবর্তন করা হয়। CO2 পানিতে দ্রবীভূত হয়ে কার্বনিক এসিড উৎপন্ন করে ।

ঠাণ্ডা অবস্থায় ও উচ্চচাপে পানিতে CO2 দ্রবীভূত অবস্থায় কার্বনিক এসিড হিসেবে থাকে। তাপ বৃদ্ধি পেলে অথবা চাপ হ্রাস পেলে দ্রবণ থেকে বুদ বুদ আকারে গ্যাস বেরিয়ে আসে। এজন্য কোমল পানীয়ের বোতল খুললেই ফেনাসহ তরল ও গ্যাস বেরিয়ে আসতে থাকে। এ কারণে এ সকল পানীয় ঠাণ্ডা অবস্থায় পান করতে ভালো লাগে। কোমল পানীতে বিদ্যমান H2CO3 এনজাইমের ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে পরিপাকে সহায়তা করে। কার্বনিক এসিড একটি মৃদু এসিড।

আরও দেখুন : কৃষি ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সার ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাব

পোলাও, বিরিয়ানী ইত্যাদি ধরনের তৈলাক্ত খাবার খেলে অনেক সময় খাদ্য পরিপাকে সমস্যা হয়। এ সময় কোমল পানীয় পান করলে উপকারে আসে কিন্তু সাধারণ খাবার পরিপাকের জন্য শরীরের মধ্যেই প্রাকৃতিক নিয়মে এসিড উৎপন্ন হয় যা খাবার হজম ও পরিপাকে সহায়তা করে। তবে কোমল পানীয় পানে উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয় বলে আমার ধারণা, বিশেষ করে অতিরিক্ত পান করলে।

কারণ কোমল পানীতে অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি দ্রবীভূত থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের রঙ ও অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে এর বর্ণ ও স্বাদের পরিবর্তন করা হয়। অতিরিক্ত চিনি খাওয়া ক্ষতিকর, বিশেষ করে বয়স্ক ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য। আর ড্রিংকস এ ব্যবহৃত রঙ ও অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্য সবার জন্যই ক্ষতিকর।

তবে যারা প্রায়ই তৈলাক্ত খাবার বিশেষ করে ফ্যাটযুক্ত খাবার খায় তাদের জন্য এটি হজমে ও পরিপাকে সহায়তা করে। তাই এটি পান করলে স্বাস্থ্যে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন লক্ষণীয় হয় না।

উপসংহার : অতএব উপরিউক্ত আলোচনা শেষে বলা যায় যে, কোমল পানীয় পান করলে কোনো কোনো সময় হজমে সহায়তা করে। আবার কোমল পানীয় এর মধ্যে রঙ ও মেডিসিন ব্যবহার করা হয় যা পান করা আমাদের জন্য ক্ষতিকর।

আরও দেখুন : পরীক্ষাগারে অ্যামোনিয়া গ্যাস প্রস্তুতি

কোমল পানীয় পানের সাথে স্বাস্থ্যের সম্পর্ক :

যেহেতু কোমল পানীয় কার্বন ডাইঅক্সাইডের দ্রবণ । কোমল পানীয় পান করলে এই কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস পানিতে দ্রবীভূত হয়ে কার্বনিক এসিডে পরিণত হয়।

এই কার্বনিক এসিড এনজাইমের ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে পরিপাকে সহায়তা করে। অর্থাৎ, কোমল পানীয় পান পরিপাকে সহায়তা করে । অতিরিক্ত কোমল পানীয় পান করলে শরীরে মেদ জমা হতে থাকে । কোমল পানীয় হলো জাঙ্ক ফুড। এই পানীয় পানে ক্ষুধামন্দা সৃষ্টি হয় ।

অতিরিক্ত মেদ রক্তে কোলেস্টেরোল বাড়ায়। হৃদযন্ত্র ও ধমনির আন্তঃআবরণীতে মেদ জমে শক্ত হয়ে যায়। ফলে রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। তাছাড়া মেদবহুল দেহ সহজে হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারে। কোমল পানীয়তে কোনো প্রকার পুষ্টিগুণ নেই। কোমল পানীয় শরীরকে স্থূলাকার করে ঠিকই কিন্তু শারীরিক সুস্থতা বিকাশে এর কোনো ভূমিকা নেই।

আরও দেখুন : প্রয়োজনীয় উপকরণ ব্যবহার করে সাবান প্রস্তুতি ব্যবহারিক

Leave a Comment

error: Content is protected !!