হোম পদার্থ রসায়ন জীব ইসলামিক

পরীক্ষাগারে অ্যামোনিয়া গ্যাস প্রস্তুতি

শিরোনাম : অ্যামোনিয়া গ্যাস প্রস্তুতি ।

উদ্দেশ্য : (ক) অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড ও কুইক লাইম থেকে অ্যামোনিয়া প্রস্তুত করা। (খ) অ্যামোনিয়ার ধর্ম পরীক্ষা করা।

সতর্কতা নির্দেশ : পরীক্ষাগারে সবসময় এপ্রন ও নিরাপদ চশমা ব্যবহার করবে।

যন্ত্রপাতি : একটি তাপসহ কাচনল, কয়েকটি গ্যাস জার, সমকোণে বাঁকানো একটি নির্গম নল, দুইটি আধার দণ্ড, ধারক, বুনসেন দীপ, কর্ক, মর্টার, পরীক্ষানল প্রভৃতি ।

রাসায়নিক দ্রব্য : অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড ও কুইক লাইম অথবা কলিচুন ।

আরও দেখুন : প্রয়োজনীয় উপকরণ ব্যবহার করে সাবান প্রস্তুতি ব্যবহারিক

তত্ত্ব : সাধারণত যে কোনো অ্যামোনিয়াম লবণকে যে কোনো ক্ষারের সাথে উত্তপ্ত করে অ্যামোনিয়া প্রস্তুত করা যায়। পরীক্ষাগারে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড ও কুইক লাইম (CaO) বা স্লেকেড লাইমকে (Ca(OH)2) উত্তপ্ত করে অ্যামোনিয়া প্রস্তুত করা হয়।

2NH4Cl(s) + CaO (s) = 2NH3 (g) + CaCl2 (s) + H2O (g)
2NH4Cl(s) + Ca(OH)2 (s) = 2NH3 (g) + CaCl2(s) + 2H2O (g)

অ্যামোনিয়া পানিতে অতিমাত্রায় দ্রবণীয় বলে পানির অপসারণ দ্বারা একে সংগ্রহ করা যায় না। অ্যামোনিয়া বাতাস অপেক্ষা বেশ হালকা। অতএব একে বাতাসের নিম্নমুখী অপসারণ দ্বারা সংগ্রহ করা হয়।

অ্যামোনিয়া গ্যাস প্রস্তুতি

প্রস্তুত প্রণালি : একটি মর্টারে কিছু শুকনো অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড ও প্রায় দ্বিগুণ ওজনের শুকনো কলিচুন ভালোরূপে গুঁড়ো করে মিশাও ও মিশ্রণকে একটি বড় আকারের তাপসহ কাচনলে নাও । কাচনলটিকে একটি ধারকের সাহায্যে আনুভূমিক করে আটকিয়ে রাখ।

কাচনলের মুখে সমকোণে বাঁকানো একটি নির্গম নল সংযুক্ত কর। নির্গম নলের খোলা প্রান্ত একটি উপুড় করা শুকনো গ্যাস জারের ভেতর প্রবেশ করাও। গ্যাস জারটি আগে থেকে ধারকের সাহায্যে একটি দণ্ডের সহিত আটকিয়ে রাখ। এখন বুনসেন দীপের সাহায্যে কাচনলে ধীরে ধীরে তাপ প্রয়োগ কর। ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত অ্যামোনিয়া গ্যাস বের হবে ও বায়ুর নিম্নমুখী অপসারণ দ্বারা গ্যাস জারে জমা হবে।

আরও শিখুন : ডিটারজেন্ট: সংজ্ঞা, প্রস্তুতি, সংকেত,ময়লা পরিষ্কারের কৌশল

গ্যাস জার অ্যামোনিয়া পূর্ণ হলো কিনা বুঝার জন্য গ্যাস জারের মুখে HCl-এ ভিজানো একটি কাচ দণ্ড ধর। ঘন সাদা ধোঁয়া উৎপন্ন হলে গ্যাস জারটি অ্যামোনিয়াতে পূর্ণ হয়েছে বলে ধরা হবে। গ্যাসপূর্ণ জারের মুখ ঢাকনা দ্বারা বন্ধ করে টেবিলের উপর রাখ। এভাবে কয়েকটি গ্যাস জারে অ্যামোনিয়া গ্যাস সংগ্রহ কর।

সাবধানতা :

(১) তাপসহ কাচনলটিকে আনুভূমিক করে রাখা আবশ্যক। এতে গ্যাস নির্গমনের সুবিধা হয় ও বিক্রিয়ার ফলে উৎপাদিত পানি কাচনলের তপ্ত অংশে আসতে পারে না। উৎপাদিত পানি কাচনলের তপ্ত অংশে আসলে কাচনলটি ফেটে যেতে পারে।

(২) গ্যাস নির্গমনের সুবিধার জন্য বিক্রিয়া মিশ্রণের পরিমাণ কাচনলের ধারণ ক্ষমতার অর্ধেকের কম হতে হবে।

(৩) অ্যামোনিয়া পানিতে অতিমাত্রায় দ্রবণীয় বলে নির্গম নল, গ্যাস জার, পরীক্ষানল প্রভৃতি শুষ্ক হওয়া প্রয়োজন।

(৪) কাচনলে ধীরে ধীরে ও সমভাবে তাপ প্রয়োগ করতে হবে।

(৫) কাচনলটি অবশ্যই তাপসহ ও শুকনো হতে হবে।

আরও শিখুন : সাবান ও ডিটারজেন্ট: পার্থক্য, অতিরিক্ত ব্যবহারের কুফল, কোনটি বেশি কার্যকরী

Leave a Comment