আভিধানিক অর্থ : فَاعِلٌ (ফায়েল ) শব্দটি اسم فاعلٍ এর সীগাহ, বাবে فَتَحَ এর الفِعْلُ মাসদার থেকে নির্গত হয়েছে। এর আভিধানিক অর্থ হলো –
১। العَامِلُ – কর্মচারী, কার্য সম্পাদনকারী।
২। القَادِرُ – সক্ষম, শক্তিধর।
৩। هُوَ الَّذِي يَنْتَظِمُ الفِعْلَ – অর্থাৎ, শৃঙ্খলার সাথে কার্য সম্পন্নকারী।
৪। هُوَ الَّذِي يَصْدُرُ عَنْهُ الفِعْلُ তথা যে সত্তার মাধ্যমে কোন ক্রিয়া সংঘটিত হয়।
পারিভাষিক সংজ্ঞা : যেসব ইসমের পূর্বে এমন فِعْلُ বা شِبْهُ الفِعْلِ হবে যা ঐ ইসম দ্বারা বাস্তবায়িত হয় এবং فِعْلُ ও شِبْهُ الفِعْلِ কে তার দিকে সম্বন্ধ করা হয় তাকে فَاعِلٌ বলা হয়।
যেমন : قَامَ زَيْدٌ (যায়েদ দাঁড়ালো), এ বাক্যে زَيْدٌ শব্দটি فَاعِلٌ কারণ قَامَ ফেলটি যায়েদের দ্বারাই সংঘটিত হয়েছে। যায়েদের উপর পতিত হয়নি।
আরও জানো : ফেল(فِعْلٌ) এর সংজ্ঞা, প্রকারভেদ, আলামত ও নামকরণ
ফায়েল (فَاعِلٌ ) এর প্রকারভেদ :
ফায়েল প্রথমত ২ প্রকার। যথা –
১। فَاعِلٌ صَرِيحٌ
২। فَاعِلٌ مُؤَوَّلٌ
১। فَاعِلٌ صَرِيحٌ : যে ফায়েল বাক্যে সরাসরি উল্লিখিত হয়ে কর্তৃবাচক পদ হয় , তাকে فَاعِلٌ صَرِيحٌ তথা প্রকাশ্য ফায়েল বলে। যেমন – جَاءَنِي زَيْدٌ এখানে زَيْدٌ শব্দটি সরাসরি উল্লিখিত হয়ে ফায়েল হয়েছে।
فَاعِلٌ صَرِيحٌ আবার ২ প্রকার। যথা –
ক। اِسْمٌ ظَاهِرٌ তথা প্রকাশ্য বিশেষ্য। যেমন – جَاءَ خَالِدٌ(খালেদ আসলো); এখানে خَالِدٌ পদটি فَاعِلٌ এবং প্রকাশ্য বিশেষ্য।
খ। ضَمِيرٌ তথা সর্বনাম। অর্থাৎ যমিরের মাধ্যমে প্রাপ্ত فَاعِلٌ; যেমন – كَتَبْتُ (আমি লিখলাম) । এখানে تُ পদটি ضَمِيرٌ যা فَاعِلٌ কে প্রকাশ করেছে।
ضَمِيرٌ তথা সর্বনাম এটি আবার ২ প্রকার। যথা –
ক। ضَمِيرٌ بَارِزٌ তথা প্রকাশ্য যমীর। যেমন – نَصَرْتُمْ (তোমার সাহায্য করলে)। এখানে تُمْ যমীরটি فَاعِلٌ যা ضَمِيرٌ بَارِزٌ
খ। ضَمِيرٌ مُسْتَتِرٌ তথা গোপনীয় যমীর। যেমন – زَيْدٌ نَصَرَ (যায়েদ সাহায্য করলো)। এখানেنَصَرَ ক্রিয়ার মধ্যে هُوَ যমীরটি فَاعِلٌ যা ضَمِيرٌ مُسْتَتِرٌ
২। فَاعِلٌ مُؤَوَّلٌ : যে পদ সরাসরি فَاعِلٌ না হয়ে পরোক্ষভাবে হয় , তাকে مُؤَوَّلٌ বলে। যেমন : بلغني انت نجحت ( আমার কাছে খবর পৌঁছেছে যে, তুমি সফল হয়েছ)। এখানে انت نجحت শব্দগুচ্ছ সরাসরি فَاعِلٌ হয়নি; বরং তাবীল হয়ে পরোক্ষভাবে فَاعِلٌ হয়েছে।
আরও জানো : ইরাব (إِعْرَابٌ) কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি উদাহরণ সহ
فَاعِلٌ مُؤَوَّلٌ আবার ২প্রকার। যথা –
ক। হয়তো حَرْفٌ مَصْدَرِيٌّ দ্বারা তাবীল হবে। যেমন – أَلَمْ يَأْنِ لِلَّذِينَ آمَنُوا أَن تَخْشَعَ قُلُوبُهُمْ لِذِكْرِ اللَّهِ
খ। অথবা أَنَّ ও তার مَعْمُولٌ দ্বয়সহ তাবীল হবে। যেমন – أَعْجَبَنِي أَنَّ النِّظَامَ مُسْتَبِبٌ
ফায়েল (فَاعِلٌ ) এর হকুম :
১। فَاعِلٌ কে فِعْلٌ এর পূর্বে আনা যাবে না। যেমন-أَخُوكَ قَامَ বলা যাবে না। বললে أَخُوكَ মুবতাদা হয়ে যাবে।
২। فَاعِلٌ এর পূর্বে تَثْنِيَتْ বা جُمْعَةٌ জাতীয় فِعْلٌ আনা যাবে না। চাই فَاعِلٌ দ্বিবচন হোক বা বহুবচন হোক। এর কারণ একই فِعْلٌ এর ২টি فَاعِلٌ একসাথে উল্লেখ করা যাবে না। সুতরাং جَاءَ الطَّالِبَانِ বা جَاءُوا الطُّلَّابَ বলা যাবে না।
৩। فَاعِلٌ যদি مُؤَنَّثٌ হয় আর তার আমেল فِعْلٌ مَاضٍ হয় তাহলে আমেলের সাথে সুকূন বিশিষ্ট تَاءٌ যুক্ত হবে। যেমন – قَامَتْ هِنْدٌ আর আমেল যদি اِسْمٌ مُشْتَقٌّ হয় তাহলে হরকত বিশিষ্ট تَاءٌ যুক্ত হবে। যেমন – مُحَمَّدٌ قَائِمَتُهُ أُمُّهُ