উপস্থাপনা :
বাংলাদেশের বন্যা একটি বহুল পরিচিত সমস্যা। প্রায় প্রতি বছর দুঃখ-দুর্দশা আর মৃত্যুর হাতছানিসহ এটি আমাদের কাছে উপস্থিত হয়। বর্ষাকালে অত্যধিক ও অস্বাভাবিক বৃষ্টির ফলে বন্যার সৃষ্টি হয়। বন্যা প্রাকৃতিক হলেও এর জন্য আমরাই অনেকাংশে দায়ী। আর এ বন্যা বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে অন্যতম ।
বাংলাদেশে বন্যার পটভূমি :
এ দেশে বহু প্রলয়ংকরী বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার বছরগুলো হলো- ১৯৬২, ১৯৬৫, ১৯৬৮, ১৯৭০, ১৯৭৩, ১৯৭৪, ১৯৮০, ১৯৮৪, ১৯৮৫, ১৯৮৭, ১৯৮৮, ১৯৯০, ১৯৯৮, ২০০০, ২০০৪, ২০০৬ ও ২০০৭ ইং। তবে ১৯৯৮ সালের বন্যা ছিল স্মরণকালের ভয়াবহতম বন্যা। এ বন্যাগুলোর জন্য ভারত কর্তৃক নির্মিত ফারাক্কা বাঁধ বহুলাংশে দায়ী।
ভয়াবহতম বন্যাগুলো :
১৯৫৪ ও ১৯৬৫ সালের বন্যা আজও আতঙ্কের ঘটনা। সত্তর সালের বন্যায় সারা বাংলাদেশ প্লাবিত হয়। ১৯৭৪ সালের ১৯টি জেলার মধ্যে ১৭টি জেলা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৯৮৭ সালে দেশের একতৃতীয়াংশ এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়। ১৯৮৮ এবং ১৯৯৮ সালে ৬৪টি জেলার মধ্যে ৫৩টিই প্লাবিত হয়ে ঘরবাড়ি ডুবে যায়। এ দুটি বন্যার স্থায়িত্ব ছিল প্রায় দুই মাস ব্যাপী। এতে ব্যাপক হারে মানুষ ও গবাদিপশু মারা যায়। ২০০০ এবং ২০০৪ সালের বন্যা ছিল কিছুটা ভিন্ন ধরনের।
উপকারী হতে পারে : বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ রচনা ( ২০ পয়েন্ট ) – pdf
এ বন্যায় ভারতের সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় ৫টি জেলা বন্যায় বিধ্বস্ত হয়। এতে বন্যায় অনভ্যস্ত দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলের জনগণ ব্যাপক দুর্ভোগের শিকার হয়। পরবর্তীতে ২০০৭ সালে রাজশাহী, সিলেট বিভাগসহ ঢাকা বিভাগেরও এক বিরাট অঞ্চল প্লাবিত হয়। এ বছর এক মাসের ব্যবধানে আগের বন্যার পানি নামতে না নামতেই আবার বন্যায় তলিয়ে যায় এসব অঞ্চল। ফসল, গবাদি পশুসহ জান মালের ব্যাপক ক্ষতি হয় এ বন্যায় ।
বন্যার ভয়াবহতা :
বন্যা মানুষের জীবনে এক বিরক্তিকর অভিজ্ঞতার জন্ম দেয়। বন্যা মানুষের ঘর-বাড়ি, রাস্তা- ঘাট, ফসল সবকিছু তছনছ করে দিয়ে যায়। এ সময়ে সমগ্র জীবনে এক আতঙ্ক বিরাজ করে। বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত সাপ বিচ্ছুর কামড়ে মানুষের মৃত্যু ঘটে। বন্যা খাদ্যবস্তু ও বাসস্থানের সঙ্গে সঙ্গে কেড়ে নেয় মানুষের অমূল্য জীবনও। এ সময়ে ডায়রিয়া, আমাশয়, কলেরা, ইনফ্লুয়েঞ্জা দেখা দেয়। সময়ে তা মহামারি আকার ধারণ করে।
বন্যার কারণ :
নানাবিধ কারণে আমাদের দেশে বন্যা সংঘটিত হয়। এগুলোর মধ্যে বন্যার অন্যতম কারণ হচ্ছে অতিবৃষ্টি। আমাদের দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২৩২০ মিলিমিটার। এ বৃষ্টির শতকরা ৮০ ভাগেরও বেশি হয় জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে। এদেশে বন্যার অন্যতম কারণ উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢল।
হিমালয় থেকে নেমে আসা বিপুল জলরাশি ভারত ও নেপালের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের পদ্মা, মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর মাধ্যমে দক্ষিণের বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়। প্রতি বছর প্রায় ৫০ লাখ কিউসেক পানি এ প্রধান তিনটি নদীর মাধ্যমে প্রবল বেগে প্রবাহিত হওয়ার সময় প্রবল চাপের মাধ্যমে বন্যার সৃষ্টি হয়। মূলত দুটি কারণ এখানে বন্যার জন্য দায়ী—
দেখুন এটি : রচনা : বাংলাদেশের পোশাক শিল্প ( ২০ পয়েন্ট ) – PDF
বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি:
“বন্যার জলে ভেসে যায় প্রাণী
মুছে যায় মানবতার গ্লানি
শস্য শ্যামল বাংলায়
জেগে ওঠে হাহাকার ধনী। “
বন্যা এই সবুজ শ্যামল বাংলার জন্য একটি মহা অভিশাপ, বন্যা জনজীবন বিপর্যয় করে তুলে এবং ব্যাপক ফসল হানি ঘটায়। বন্যার প্রবল স্রোতে ঘরবাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে যায়। মানুষ পশুপাখি প্রাণ হারায়। বন্যার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও কৃষি ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়ে। বন্যার ফলে জিনিসপত্রের দাম অনেক বেড়ে যায় ফলে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। বন্যার সঙ্গে সঙ্গে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে কলেরা, বসন্ত, ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রভিতি মহামারী। যোগাযোগ সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়
অতি বৃষ্টি :
বাংলাদেশ মৌসুমী বায়ুর দেশ। প্রতিবছর এ দেশে প্রচুর বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পরিমাণ যদি এত বেশি হয় যে, খাল-বিল, নদীনালা স্বাভাবিক প্রবাহের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, তখন বন্যার সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশে স্বাভাবিক বৃষ্টির পরিমাণ ১৩২০ মিলিমিটার।
নদীর গভীরতা হ্রাস :
প্রতিবছর নদীসমূহের তলদেশে পলি জমে গভীরতা হ্রাস পায়। এতে নদীর পানি ধারণ ক্ষমতা কমে যায়। এ অবস্থায় নদীগুলোর সংস্কার করা জরুরি। কিন্তু পর্যাপ্ত সংস্কার ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই নদীর দু’কূল প্লাবিত হয়ে বন্যার সৃষ্টি হয়।
উজানের পানি :
ভাটির দেশ হলো আমাদের এই বাংলাদেশ । প্রায় ১০ লাখ বর্গমাইল এলাকার বাংলাদেশ, নেপাল ও ভারতের পানি বাংলাদেশের প্রধান ৩টি নদী পদ্মা, মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র দিয়ে পতিত হয় বঙ্গোপসাগরে । প্রায় ১০ লাখ কিউসেক পানি প্রতিবছর উজান থেকে নদীগুলোতে আসে । পানির এ প্রবল চাপেও বন্যার সৃষ্টি হয়।
দেখুন এটি : জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রচনা (২০ পয়েন্ট)
অমসৃণ নদী পথ :
বাংলাদেশে নদী মাতৃক দেশ। আর এ নদীগুলোর গতিপথ হলো অমসৃণ। কোথাও চিকন আবার কোথাও মোটা । আবার অনেক নদীপথ এমন রয়েছে যাদের গতিপথ খুব আঁকাবাঁকা। যার ফলে পানি প্রবাহে বিঘ্ন ঘটে। তাছাড়া অনেক খাল-বিল ও যদি নালার উপর ব্রীজ, কালভার্ট ইত্যাদি নির্মিত হওয়ায়ও নদীর পানি প্রবাহে বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে বন্যার সৃষ্টি হয়।
ভারত কর্তৃক সৃষ্ট সমস্যা :
অনেকের মতে, বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যার অন্যতম কারণ ফারাক্কা বাঁধ। ভারত উজানের সবক’টি নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে পানি প্রত্যাহার করায় নদীতে প্রবাহ হ্রাস পেয়ে পলি পড়ে। ফলে নদীর নাব্যতা হ্রাস পায়। অপরদিকে বর্ষা মৌসুমে সবক’টি বাঁধ খুলে দেয়। এতে নদীর প্রবাহ মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পায়, যা নিয়ন্ত্রণ করা নদীগুলোর জন্য অসম্ভব হয়ে পড়ে। ফলে বন্যা হয়।
ভৌগোলিক অবস্থান ও ভূ-তাত্ত্বিক গঠন :
বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও ভূ- তাত্ত্বিক গঠনই এখানকার বন্যার প্রধান কারণ । এদেশ গঙ্গা, যমুনা ও মেঘনা এ প্রধান তিনটি নদীর মিলনস্থলে অবস্থিত বৃহত্তম ব-দ্বীপ, যা পৃষ্ঠদেশ থেকে মাত্র ৬-৭ মিটার উঁচু। নেপাল, ভূটান ও তিব্বত হলো উল্লিখিত তিনটি নদীর পানির উৎস। বর্ষাকালে উক্ত তিনটি নদীতে পানি বাড়লে বাংলাদেশের বন্যা শুরু হয়ে যায় ।
মৌসুমি বায়ুর প্রভাব :
বর্ষাকালে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বাতাস দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়। ফলে নদীর জলস্রোতের দক্ষিণমুখী নিঃসরণ বাধাপ্রাপ্ত হয়। তখন প্রবল বৃষ্টির ফলে বঙ্গোপসাগরের পানি সমতল থেকে ৩/৪ ফুট বেড়ে যায় এবং অতিরিক্ত পানি নদীপথে দেশের অভ্যন্তরভাগে প্রবেশ করে। ফলে বন্যার সূত্রপাত হয় ।
দেখুন এটি : বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প রচনা (২০ পয়েন্ট) SSC, HSC- pdf
হিমালয়ের বরফগলা পানি :
পৃথিবীর সর্ববৃহৎ পর্বতমালা হিমালয় আমাদের এ অঞ্চলে অবস্থিত। গ্রীষ্মকালে তাপে বরফ গলে কোটি কোটি কিউসেক পানি গঙ্গা, যমুনা, মেঘনা দিয়ে প্রবাহিত হয়। অন্যদিকে নেপাল, ভারত, ভূটান ও তিব্বত উক্ত তিনটি নদীর পানির উৎস। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের বাইরের নদীগুলোর পানি প্রবাহের তীব্রতায় হ্রাস-বৃদ্ধি বন্যার অন্যতম কারণ।
বন্যার সুফল :
বন্যার সামান্য কিছু সুফলও রয়েছে। বন্যার সময় ভূমিতে প্রচুর পলিমাটি জমে। পলিমাটি ফসলের জন্য খবুই উপকারী। ফলে বন্যা পরবর্তী বছর জমিতে বেশি ফসল জন্মে। তবে এ উপকারের জন্য প্রয়োজন সীমিত বন্যা। কিন্তু আমাদের দেশের বন্যাগুলো ঐরূপ নয়।
বন্যার কুফল :
বন্যার কুফল বর্ণনা করে শেষ করা যায় না। প্রতিবছর বন্যা কেড়ে নেয় আমাদের বহু জীবন ও সম্পদ। এ বন্যার ফলে শুধু আমাদের প্রাণহানি বা জমির ফসলই নষ্ট হচ্ছে না, আমাদের কৃষি উন্নয়ন পরিকল্পনাও বানচাল হচ্ছে। বন্যার পানি সরে গেলে দেখা দেয় খাদ্যাভাব, দুর্ভিক্ষ, মহামারী, কলেরা, আমাশয় ইত্যাদি মারাত্মক ব্যাধি। ফলে অনেক লোক খাদ্য ও চিকিৎসার অভাবে প্রাণ হারায়।
দেখুন এটি : রচনা : নারীর ক্ষমতায়ন (২০ পয়েন্ট)
বন্যার প্রতিকার :
ক. বাঁধ নির্মাণ : বন্যার পানি প্রবেশের উৎসমুখ বন্ধ করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে ব্রহ্মপুত্র, গঙ্গা *ও তিস্তাসহ দেশের বিভিন্ন নদীর উৎসমুখে বাঁধ নির্মাণ করতে হবে ।
খ. পোল্ডার নির্মাণ : দেশের উপকূলভাগে স্থাপিত ৭শ’ স্বয়ংক্রিয় জোয়ারবিরোধী গেটের মতো করে কাঠামো দ্বারা সাগরের জোয়ার অনুপ্রবেশরোধ এবং জলাবদ্ধ এলাকায় পোল্ডার নির্মাণ করে পানি পাম্প করার ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে ।
গ. প্রাক-সতর্কীকরণ ব্যবস্থা : বন্যা সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাক-সতর্কীকরণ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রযুক্তিগতভাবে এ ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ সক্ষম। এক্ষেত্রে ভূ-তাত্ত্বিক ও আঞ্চলিক পরিবাহ-এর মাধ্যমে সতর্কীকরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানো যেতে পারে ।
ঘ. নদীভাঙন রোধ ও নদী খনন : নদী ভাঙনের কারণে নদী ভরাট হয়ে দু’কূল ছাপিয়ে বন্যা হয়। এসব নদী খনন এবং নদীর দুই তীরে ভাঙন রোধের জন্য বৃক্ষরোপণ ও বাঁধের ব্যবস্থা করা যেতে পারে ।
ঙ. আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ : পানিবন্দি এলাকায় প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রকে বহুতল ভবনে রূপান্তর করে অন্তত ৩০০০ লোক ধারণ করার ব্যবস্থা করতে হবে।
চ. সমন্বিত ব্যবস্থা : ভারত, নেপাল ও চীনকে সাথে নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক পরিকল্পনা নিতে হবে। দেশেও জাতীয়ভিত্তিতে দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা যেতে পারে।
বন্যাপরবর্তী দুর্যোগ :
বন্যার পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশে দুর্যোগ আরো মারাত্মক আকার ধারণ করে। পর্যাপ্ত পুনর্বাসন সমস্যা, খাদ্য, বস্ত্র, গৃহস্থালির তৈজসপত্র সবকিছুর অভাবে মানবজীবন আরো দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। এছাড়া বন্যার পরে নানারকম রোগ দেখা দেয়। কলেরা, আমাশয়, ডায়রিয়া ইত্যাদি রোগ মহামারির আকারে ছড়িয়ে পড়ে। কৃষিক্ষেত্রে সমস্যা আরো প্রকট আকার ধারণ করে। বন্যায় মাঠের সব ফসল নষ্ট হয়ে যায়, ফলে কৃষকদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। বন্যার চেয়ে বন্যা পরবর্তী সমস্যা জনজীবনে আরো প্রকট ও ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে।
দেখুন এটি : রচনা : ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য (২০ পয়েন্ট)-pdf
বন্যাত্রাণ :
বন্যাকবলিত মানুষের জন্য নানারকম সাহায্য, ত্রাণকার্যের ব্যবস্থা করা হয়। ভয়াবহ বন্যা মোকাবিলা করার জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে সর্বতোভাবে প্রচেষ্টা চালানো হয়। সরকার এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান উপদ্রুত এলাকার আশপাশে শিবির, লঙ্গরখানা ইত্যাদি খুলে দুর্গত মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, ওষুধ ইত্যাদি আবশ্যকীয় সামগ্রী সরবরাহ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
নানা দেশের মেডিকেল মিশন, বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে। বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য মোবাইল হাসপাতাল ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এখানে বন্যায় অনেক রোগাক্রান্তের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়।
উপসংহার :
বন্যা আমাদের নিত্য দুর্যোগের মধ্যে অন্যতম একটি। আর এই সংগ্রামশীল জীবনকে আঁকড়ে ধরে আমাদের দেশের মানুষকে বেঁচে থাকতে হয়। প্রতি বছর ধ্বংস হয় হাজার হাজার ঘরবাড়ি। কালের গহ্বরে হারিয়ে যায় এদেশের কোটি কোটি টাকার সম্পদ ও ঝরে যায় হাজারো তাজা প্রাণ। তাই সবাইকে বন্যা নিয়ন্ত্রণে সমানভাবে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে।