بَرُّ الْوَالِدَيْنِ / خِدْمَةُ الْوَالِدَيْنِ حَقُّ الْوَالِدَيْنِ إِطَاعَةُ الْوَالِدَيْنِ
পিতা মাতার প্রতি কর্তব্য/ আনুগত্য /সদ্ব্যবহার/অধিকার
المُقَدَّمَةُ:
الْوَالِدَانِ هُمَا الْأَبُ وَالْأُمُّ، الَّذَانِ وَاسْتَطَانَا لِوُجُودِنَا فِي الدُّنْيَا، وَهُمَا أَفْضَلُ نِعْمَةٍ مِنْ نِعَمِ اللهِ تَعَالَى، فَمَنْ شَكَرَ نِعْمَتَهُ تَعَالَى وَأَطَاعَهُمَا فَقَدْ فَازَ، وَمَنْ كَفَرَ بِنِعْمَتِهِ وَعَقَّهُمَا فَقَدْ خَسِرَ خُسْرَانًا مُبِينًا.
مَعْنَى بَرِّ الْوَالِدَيْنِ:
مَعْنَى بَرِّ الْوَالِدَيْنِ إِطَاعَتُهُمَا وَخِدْمَتُهُمَا وَحُسْنُ السُّلُوكِ بِهِمَا
إِحْسَانُ الْوَالِدَيْنِ إِلَى الْأَوْلَادِ:
لِلْوَالِدَيْنِ إِحْسَانٌ كَبِيرٌ عَلَى الْأَوْلَادِ- مِنْ أَهَمِّ الْإِحْسَانِ أَنَّهُمَا يَتَحَمَّلَانِ لَهُمْ مَشَقَّاتٍ كَثِيرَةً- فَالْأُمُّ تَحْمِلُهُمْ فِي بَطْنِهَا وَتَضَعُهُمْ بَعْدَ عَشَرَةِ أَشْهُرٍ تَقْرِيبًا ثُمَّ تُرْضِعُهُمْ حَوْلَيْنِ كَامِلَيْنِ- الْأَبُ يُنْفِقُ عَلَيْهِمْ وَيَبْذُلُ جُهْدَهُ لَهُمْ-
আরও : আরবি রচনা : মাদ্রাসা (বাংলা অনুবাদ সহ)
وَهُمَا يُرَبِّيَانِهِمْ وَيُؤَدِّيَانِهِمْ وَيَسْعَيَانِ لِتَعْلِيمِهِمْ وَسَعَادَتِهِمْ وَتَقَدُّمِهِمْ- الْأَبَوَانِ يَفْرَحَانِ لِفَرَحِ الْأَوْلَادِ وَيَبْكِيَانِ بِبُكَائِهِمْ-
حُكْمُ إِطَاعَةِ الْوَالِدَيْنِ:
إِطَاعَةُ الْوَالِدَيْنِ وَاجِبٌ عَلَى الْأَوْلَادِ- دَلَّ عَلَيْهِ قَوْلُهُ تَعَالَى (وَقَضَى رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا) وَعُقُوقُهُمَا حَرَامٌ- وَدَلَّ عَلَيْهِ قَوْلُهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ- رِضَا الرَّبِّ فِي رِضَا الْوَالِدَيْنِ وَسَخَطُ الرَّبِّ فِي سَخَطِ الْوَالِدَيْنِ-
مَنْ أَبَرُّهُمَا:
الْأُمُّ هِيَ أَبَرُّ الْوَالِدَيْنِ لِحُسْنِ الْمُعَامَلَةِ ثُمَّ الْأَبُ- كَمَا جَاءَ فِي الْحَدِيثِ- سَأَلَ رَجُلٌ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ: مَنْ أَحَقُّهُمَا بِحُسْنِ صُحْبَتِي؟ قَالَ: أُمُّكَ. قَالَ: ثُمَّ مَنْ؟ قَالَ: أُمُّكَ. قَالَ: ثُمَّ مَنْ؟ قَالَ: أُمُّكَ. قَالَ: ثُمَّ أَبُوكَ-
আরও : আরবি রচনা : কুরআনুল কারীম – অনুবাদ সহ
وَاجِبُ الْأَوْلَادِ إِلَى الْوَالِدَيْنِ:
الْوَاجِبُ عَلَى الْأَوْلَادِ إِلَى الْوَالِدَيْنِ بِأَنْ يطيعُوهُمَا وَيُعَامِلُونَ مَعَهُمَا مُعَامَلَةً حَسَنَةً بِالْقَوْلِ وَالْعَمَلِ وَيُحْسِنُونَ إِلَيْهِمَا وَيُظْهِرُونَ الرَّحْمَةَ وَالتَّوَاضُعَ لَهُمَا وَيَخْضَعُونَ لَهُمَا فِي حَالِ الْكِبَرِ خَاصَّةً- وَيَدْعُونَ لَهُمَا بَعْدَ مَمَاتِهِمَا-
قَالَ تَعَالَى (وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا ۚ إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُلْ لَهُمَا أُفٍّ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُلْ لَهُمَا قَوْلًا كَرِيمًا. وَاخْفِضْ لَهُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحْمَةِ وَقُلْ رَبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا)-
الْخَاتِمَةُ:
حُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ بَعْدَ اللهِ وَرَسُولِهِ- فَعَلَيْنَا أَنْ نُطِيعَهُمَا وَنُحْسِنَ إِلَيْهِمَا فِي كُلِّ وَقْتٍ وَنَدْعُوَ لَهُمَا بَعْدَ مَوْتِهِمَا وَفِي حَيَاتِهِمَا-
ভূমিকা :
“ওয়ালিদান” হলো পিতা ও মাতা। যারা দু’জন আমাদের এ পৃথিবীতে আগমনের মাধ্যম। এরা আল্লাহ তা’আলার সর্বশ্রেষ্ঠ নি’আমাত । সুতরাং সে আল্লাহর এ নি’আমাতের শুকরিয়া আদায় স্বরূপ তাদের অনুগত হবে সে সফলকাম আর যে ব্যক্তি এ নি’আমাতের কুফরী করে তাদের অবাধ্য হবে সে হবে সুস্পষ্ট ক্ষতিগ্রস্থ।
বিররুল ওয়ালিদাইন অর্থ :
এর অর্থ হচ্ছে তাদের আনুগত্য-সেবা ও তাদের সাথে উত্তম ব্যবহার করা !
সন্তানদের প্রতি পিতা-মাতার অনুগ্রহ :
সন্তানদের প্রতি পিতা-মাতার বিরাট অবদান রয়েছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, তারা তাদের জন্য বহু কষ্ট স্বীকার করেছেন । মাতা তাদেরকে স্বীয় উদরে বহন করেছেন এবং প্রায় ১০ মাস পর প্রসব করেছেন এরপর পূর্ণ দু’ বছর তাকে দুধ পান করিয়েছেন।
আর পিতা তাদের ভরণ-পোষণের ব্যাবস্থা করেন এবং তাদের জন্য অনেক পরিশ্রম করে থাকেন। তারা (দু’জন) সন্তানকে লালন-পালন করেন, তাদের আদব শিক্ষা দেন এবং শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে, শান্তি দিতে ও অগ্রগতির জন্য সচেষ্ট হন। পিতা-মাতা সন্তানের খুশীতে খুশী হন। আর তাদের দুঃখে দুঃখিত হন ।
পিতা-মাতার আনুগত্যের হুকুম :
পিতা-মাতার আনুগত্য করা সন্তানদের উপর ফরয। আল্লাহর বাণী উহার নির্দেশ দেয়- “আর তোমার রব নির্দেশ দিচ্ছেন যে তিনি ছাড়া আর কারো ইবাদত করবে না । আর পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করবে”। তা প্রমাণ করে তাদের অবাধ্য হওয়া হারাম। আল্লাহর রাসূলের বাণী তিনি বলেন- “রবের সন্তুষ্টি পিতা-মাতার সন্তুষ্টির মধ্যে নিহিত আর রবের অসন্তুষ্টি পিতা-মাতার অসন্তুষ্টির মাঝে নিহিত” ।
তাদের মধ্যে কে অধিকতর সদ্ব্যবহার প্রাপ্য :
সদ্ব্যবহারের ক্ষেত্রে মাতা হচ্ছে অধিকতর সদ্ব্যবহার প্রাপ্য তারপর পিতা। হাদীসে এসেছে, এক ব্যক্তি রাসূল (স)-কে জিজ্ঞেস করে বললেন- “তাদের মাঝে কে আমার সদ্ব্যবহার পাবার অধিকতর হকদার? তিনি বললেন, তোমার মাতা। অতঃপর বললেন তারপর কে? উত্তরে বললেন তোমার মাতা। এ লোকটি বললেন তারপর কে? বললেন তোমার মাতা অতপর, তোমার পিতা।”
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানদের কর্তব্য :
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানদের কর্তব্য হচ্ছে যে, তারা তাদের (পিতা-মাতার) অনুগত হবে এবং কথা ও কাজে তাদের সাথে উত্তম ব্যবহার করবে এবং তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করবে। তাদের জন্য দয়া ও নম্রতা প্রকাশ করবে। তাদের জীবদ্দশায় বিশেষ করে বৃদ্ধ বয়সে তাদের সেবা করবে আর তাদের মৃত্যুর পর তাদের জন্য দোয়া করবে।
আল্লাহ তা’আলা বলেন- “আর পিতা-মাতার প্রতি উত্তম আচরণ কর, তাদের একজন কিংবা উভয়ে যখন বৃদ্ধ বয়সে পৌঁছবে তখন তাদেরকে কষ্টদায়ক কোন কথা বলবে না এবং তাদের ধমক দিওনা। আর তাদের সাথে সম্মানজনক কথা বল এবং তাদের জন্য বিনয়ের ডানা সম্প্রসারিত করে দাও এবং বল, হে রব! তুমি তাদের প্রতি এমনিভাবে দয়া কর যেমনিভাবে তারা আমাদের প্রতি দয়া করেছেন।”
শেষকথা :
আল্লাহ ও তার রাসূলের পরেই পিতা-মাতার অধিকার, সুতরাং আমাদের উপর কর্তব্য যে, আমরা তাদের আনুগত্য করব এবং তাদের প্রতি ইহসান করব। আর তাদের জীবদ্দশায় ও মৃত্যুর পর তাদের জন্য দোয়া করব।